মাসুদ আলম : [২] বুধবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, সাইফুল ইসলাম ওরফে টুটুলের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী থানাার কামন্দী গ্রামে। এইচএসসি পাস টুটুল প্রথমে ছিলেন মুদি দোকানদার। ঢাকায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন । এক পর্যায়ে অধিক লাভের আশায় জড়িয়ে পড়েন মানবপাচার চক্রে। শুরুতে চক্রের দালাল হিসেবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করতেন টুটুল। পরে নিজেই খোলেন তিনটি ওভারসিজ প্রতিষ্ঠান।
[৩] তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে বাড্ডা থানা লিংক রোডে টুটুল ওভারসিজ, লিমন ওভারসিজ ও লয়াল ওভারসিজে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। টুটুলের ওভারসিজ অবৈধ থাকায় বৈধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেকার ও অসচ্ছল শিক্ষিত অর্ধশতাধিক মানুষকে পাচার করেছে। এছাড়া শতাধিক মানুষকে বিদেশে পাঠানো কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- টুটুলের এ প্রতারণার কাজে অন্যতম সহযোগী তৈয়ব আলী, জালাল উদ্দিন লিমন, মারুফ হাসান, জাহাঙ্গীর আলম ও লালটু ইসলাম, আলামিন হোসাইন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
[৪] অধিনায়ক বলেন, এছাড়া দুই নারীসহ চারজন ভিকটিম উদ্ধার, ১০টি পাসপোর্ট, ৭টি ফাইল, ৪টি সিল, ১৭টি মোবাইল, ৫টি রেজিস্টার, ব্যাংকের চেক বই, ২টি কম্পিউটার, ৩টি লিফলেট এবং নগদ ১০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। তৈয়ব চায়ের দোকানদারী করতো। টুটুলের প্ররোচনায় মানবপাচারে জড়িয়ে পরে।
[৫] তিনি বলেন, তৈয়ব বিভিন্ন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে চাকরিসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে ভুয়া চাকরির যোগদানপত্র প্রদান করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে। এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মতো ভুক্তভোগী র্যাবে যোগাযোগ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :