ইফতেখার আলম: [২] রাজশাহীতে ১২ মাসের শিশু সন্তানকে রেখে গৃহবধু জহুরা বিবি নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকার মোবারক নামের এক পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে।
[৩] এদিকে শিশু ইসরাফিলকে নিয়ে বাবা পড়েছেন বিপাকে। এসেছেন রাজশাহী গ্রেটাররোড ছোটমণি নিবাসে (এতিম খানা)।
[৪] মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছোটমণি নিবাসের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে কথা হায় শিশুর বাবা আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন,গত জুন মাসের ১২ তারিখে শিশু ইসরাফিলের চিন্তা না করে বাসায় থুয়ে কাউকে কিছু না বলে জহুরা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
[৫] এদিকে গৃহবধু তার ১২ মাসের শিশু পুত্রসন্তান ইসরাফিলকে বাড়িতে রেখে যাওয়ায় তার লালন পালন নিয়ে বাবা ও তার বৃদ্ধা মা বিপাকে পড়েছেন। এমন ঘটনায় আবুল হোসেন থানায় জিডি করতে গেলেও তা গ্রহণ করেননি তানোর থানার ওসি।
[৬] আবুল হোসেন বলেন, ২০০৪ সালে তানোর দেবীপুর গ্রামের ইয়াসিন মন্ডলের মেয়ে জহুরা বিবির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।এরপর থেকে সুখে শান্তিতেই চলে তাদের পারিবারিক জীবন। গত তিন মাস পূর্বে একটি মামলায় জেলে যেতে হয় আবুলকে। জেলে থাকা অবস্থায় মোবারকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। জেলে থাকতেই পালিয়ে বিয়ে করে তারা।
[৭] জহুরা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শিশুপুত্র ইসরাফিলের কান্না কোনো অবস্থাতেই থামানো যাচ্ছে না এবং তাকে খাবারও খাওয়ানো যাচ্ছে না। কোনো রকম ফিডারে করে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে তাকে।
[৮] শিশুটিকে লালন পালন করার কেই না থাকায় নিজ সন্তানকে কোলে নিয়ে চলে আসেন এতিম খানায়। কিন্তু এতিম খানার নিতিমালা অনুযায়ী শুধু মাত্র পিতা না থাকলে বা দাবিদারবিহীন পরিত্যক্ত ও বিপন্ন অবস্থায় ০-৭ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চা গ্রহণ করা হয়। এ কারণে বাচ্চাকে এতিখানায় দিতে না পের রেড়িয়ে আসেন ভেতর থেকে। এসময় বাচ্চার গায়ে প্রচন্ড জ্বর। শেষে শিশু ইসরাফিলকে কোলে নিয়ে ফিরে যান নিজ বাসায়।
[৯] এদিকে বাচ্চাকে দেখভাল করতে গিয়ে কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন আবুল হোসেন। তিনি নিজের ও বাচ্চার খরচ বহন করতে পারছে না। এছাড়া কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে দুধের শিশুকে নিয়ে কি করবেন এ নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পড়েছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি