শিমুল মাহমুদ: [২] চিকিৎসকদের পরামর্শেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
[৩] তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। শরীরে তাপমাত্রাও আছে কিছুটা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দেখভাল করছেন বলে জানান ডা. জাহিদ।
[৪] এর আগে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেল তিনটা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে ৪টা পাঁচ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান। নিজের গাড়িতে চড়ে খালেদা জিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর পর গাড়ি থেকে হুইল চেয়ারে করে তাকে নির্দিষ্ট কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তার সঙ্গে কথা বলেন।
[৫] বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ম্যাডামকে হাসপাতালে নেয়ার আগে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তার বোন সেলিমা ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা ফিরোজ কিছু সময় থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়ে গেছেন।
[৬] কোভিডোত্তর জটিলতায় ২৭ এপ্রিল খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস সিসিইউতে ছিলেন। পরে ১৯ জুন মেডিকেল বোর্ড বাসায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দেয়।
[৭] দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।
[৮] খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলো তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থানের সময় গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
আপনার মতামত লিখুন :