মাহিন সরকার : [২] এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া সকল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে যারা বিশাল প্রভাব রেখেছেন, এদের মধ্যে সেরা দশজনকে বেছে নিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিচারে সেরা দশ জনের তালিকার নাম দেওয়া হয়েছে লিডিং লাইটস। সেখানে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে স্থান পেয়েছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
[৩] আইসিসি নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিডিং লাইটসদের তালিকা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি তাদেরকে বেছে নেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছে সংস্থাটি।
[৪] টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের ছয় আসরের সবকটিতে অংশ নিয়েছেন সাকিব। এবারের আসরেও বাংলাদেশ দলের আশা-ভরসার অন্যতম প্রতীক তিনি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ২৫ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৫৬৭ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৩০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের আধুনিকতম সংস্করণের বিশ্ব আসরে অন্তত ৫০০ রান করার ও ৩০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে আর কেবল পাকিস্তানের সাবেক তারকা শহিদ আফ্রিদির।
[৫] সাকিবের প্রসঙ্গে আইসিসির ওয়েবসাইটের ফিচারে লেখা হয়েছে, ‘তিনি এই তালিকার একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি কখনও এই প্রতিযোগিতায় অন্তত সেমিফাইনালে খেলেননি। সাকিবের অর্জনের মাহাত্ম্য এখানেই যে, তুলনামূলক দুর্বল একটি দলের হয়ে খেলেও তিনি সফল হয়েছেন।
[৬] আরও লেখা হয়েছে, ২০২১ সালের আসরে খেলতে যাওয়া ওই আট ক্রিকেটারের একজন তিনি, যারা প্রতিযোগিতার অভিষেক আসরেও অংশ নিয়েছিলেন। সাকিব আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। দুই বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে (ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট) তার পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, বড় মঞ্চে তার সেরাটা দেওয়ার ক্ষুধা বাড়ছেই।
[৭] লিডিং লাইটস তালিকার বাকি নয় ক্রিকেটার হলেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি (৩৪ ম্যাচে ৫৪৬ রান ও ৩৯ উইকেট), ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যামুয়েল বাদ্রি (১৫ ম্যাচে ২৪ উইকেট), দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স (৩০ ম্যাচে ৭১৭ রান ও ৩০ ক্যাচ), শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান (৩৫ ম্যাচে ৮৯৭ রান), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (২৮ ম্যাচে ৯২০ রান), শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে (৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান), ভারতের বিরাট কোহলি (১৬ ম্যাচে ৭৭৭ রান), শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট) ও ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন (১৫ ম্যাচে ৫৮০ রান)। - আইসিসি