মাসুদা ইয়াসমিন: [২] তুরাগ নদে বাল্ক হেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। সোমবার সকালে তুরাগ নদের বসিলা এলাকা থেকে রূপায়ন (মা) ও মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে মেয়ে জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] নৌকাডুবির ঘটনায় নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার রাতে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
[৪] ফায়ার সার্ভিস নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে গাবতলীর তুরাগ নদে নৌডুবির ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাটির দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় তুরাগ নদের পাড়ে নিখোঁজ রুপায়নের (৩০) মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি অবহিত করেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
[৫] এছাড়া মুন্সিগঞ্জ জেলার মুক্তারপুর ব্রীজ এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে নিখোঁজ শিশু জেসমিন (২) মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশের সদস্যরা। রুপায়ন ও জেসমিন সুনামগঞ্জের জেলার জামালগঞ্জ থানার গজারিয়া গ্রামের মো. সফিকুলের স্ত্রী ও মেয়ে। এনিয়ে নৌডুবির ঘটনায় নিহত ৭ জনেরই মরদেহ উদ্ধার হলো। শনিবারের নৌকাডুবির ঘটনায় সাভার মডেল থানায় রবিবার রাতে অবহেলাজনিত হত্যা মামলা করেছে নৌ-পুলিশ।
[৬] আমিনবাজার নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর শেখ বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ বসিলা ও মুক্তারপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
[৭] এছাড়া সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, তুরাগে নৌকা ডুবির ঘটনায় নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত বাল্কহেডের মাস্টার ও চালককে আসামী করে রবিবার রাতে অবহেলাজনিত হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৮] প্রসঙ্গত, শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে আমিনবাজারের কেবলারচর ঘাট থেকে একটি যাত্রীবাহী নৌকা তুরাগ নদের অপর প্রান্তে দ্বীপনগর ঘাটে যাচ্ছিল। নৌকায় ১৮ জন যাত্রী ছিলো। মাঝনদীতে যাওয়ার পর উত্তর দিক থেকে খালি বাল্কহেড নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়৷ এতে নারী ও শিশুসহ ৭ জন নিখোঁজ হন। শনিবার ৪ শিশুসহ ১ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।