আয়াছ রনি: আলোচিত মেজর (অব) সিনহা হত্যা মামলার পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনের বিচারিক কার্যক্রম ১১ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০ টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে উভয় পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিততে ২৭ তম সাক্ষীর জবানবন্দী ও জেরা শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এড. ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, ১১ অক্টোবর সকালে বিচারিক আদালতে গতকালের অসমাপ্ত দুইজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে আজকের কার্যক্রম শুরু হয়।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার এম. নুরুল কবির জানান- ১১ অক্টোবর (সোমবার) আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চার্জশীটের ৪০ থেকে ৪৯ নম্বর সাক্ষী আদালতে হাজিরা দিয়েছে।
এ পর্যন্ত মোট ২৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দী ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা হলেন-মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সাহিদুল ইসলাম সিফাত, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আমিন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও হাফেজ শহীদুল ইসলাম, আবদুল হামিদ, ফিরোজ মাহমুদ ও মোহাম্মদ শওকত আলী, হাফেজ জহিরুল ইসলাম, ডা. রনধীর দেবনাথ, সেনা সদস্য সার্জেন্ট আইয়ুব আলী, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মোঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী, মোক্তার আহমদ, ছেনোয়ারা বেগম, হামজালাল, আলী আকবর ও ফরিদুল মোস্তফা খান,বেবী বেগম, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মোঃ মুনতাসীর আরিফিন,সার্জেন্ট মোঃ মোক্তার আহম্মদ, কর্পোরাল নুর মোহাম্মদ, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবুজাফর সৈয়দ মঈন, লেন্স কর্পোরাল রুহুল আমিন।
কারাগারে থাকা ১৫ জন আসামীকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়েছে। তারা হলো : পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া। কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষী সহ আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। ১৫ জনকে আসামি করে দায়ের করা অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকান্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।মেজর (অব) সিনহা হত্যা মামলা নম্বর : এসটি-৪৯৩/২০২১ ইংরেজী। যার জিআর মামলা নম্বর : ৭০৩/২০২০ ইংরেজি। যার টেকনাফ মডেল থানা মামলা নম্বর : ৯/২০২০ ইংরেজি