রউফুল আলম: চীন সম্প্রতি চন্দ্রাভিযান করেছে। সেখান থেকে শিলা ও বিভিন্ন স্যাম্পল সংগ্রহ করে এনেছে। সেসব নিয়ে গবেষণা করছে। তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে সাইন্স এবং নেচারের মতো জার্নালে। সেগুলো নিয়ে দুনিয়ার নিউজ মিডিয়াগুলো কাভার করছে।
আজ থেকে বিশ বছর আগেও চীনের মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কেউ খবর রাখতো না। মহাকাশ গবেষণা বলতে দুনিয়ার মানুষ যে প্রতিষ্ঠানটিকে চিনতো, সেটি হলো নাসা। চীন সেই ধারণা ও সময় বদলে দিচ্ছে। মহাকাশ গবেষণায় তারা এখন সারা দুনিয়ার ফোকাস হতে চায়।
গবেষণার এমন কোন শাখা নেই, যেটাতে চীনের বিচরণ নেই। এমন কোন শাখা নেই যেটাতে তারা ভালো করছে না। সারা চীনে গড়ে উঠেছে সহাস্রাধিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি। আর দুনিয়া থেকে ছেঁকে মোস্ট ব্রিলিয়ান্ট এবং পটেনশাল ছেলে-মেয়েগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে সেইসব ল্যাবগুলোতে নিয়োগ দিচ্ছে। নিজ দেশে তারা গবেষণার এক অভূতপূর্ব সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। বিশ্বমানের গবেষণা শিখতে চীনের অসংখ্য স্টুডেন্ট ও শিক্ষকদের এখন আর দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে হয় না। চীনের ছেলে-মেয়েরা পিএইচডি’র থিসিস লিখে চাইনিজ ভাষায়। নিজ ভাষায় তারা বহু জার্নাল প্রতিষ্ঠিত করছে।
এই চীনকে দেখে যে দেশটি নিজেকে প্রস্তুত করছে সেটা হলো ভারত। আমরা কারো ভালোটা দেখে শেখার জাতি না। আমাদের অগ্রগতির প্রধান শক্তি শিক্ষা’কে আমরা দুর্বলতম করে রেখেছি। এদিকে আঠারো কোটি মানুষের দেশটা হয়ে গেছে চীন-ভারতের বাজার। বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণা যতো দুর্বল থাকবে চীন-ভারতের জন্য ততোই সেটা মঙ্গলজনক। ওরা এসে ব্রিজ করবে, টানেল করবে, ফোন কোম্পানি দিবে। আমরা ওদের দেশে যাবো চিকিৎসার জন্য। সর্বদিক দিয়ে আমাদের পকেটের টাকা ওদের জন্যই ঢালবো। আবার আমাদের শ্রমিকরাও ওদের দেশে গিয়ে শ্রম দিবে। আর আমাদের কর্পোরেট বাজার দখল করবে ওরা।