শরীফ শাওন : [২] ইউরোপ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের’ দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়ে এমন মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
[৩] রোববার ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ২৪তম সভায় বোর্ডের অন্যতম সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর-কে দক্ষিণ এশিয়ার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইতালির কেগলিয়ারি শহরে অনুষ্ঠিত সভায় সংস্থাটির সদস্যরা সরাসরি ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগদান করেন। সভায় ২০২১ সালের কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয় এবং ২০২২ সালের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়।
[৪] সভায় মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকার মতো মেগা সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মতো অস্থায়ী ও অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ আবাসনের জন্য সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, বর্তমান সময়ের ইলেকট্রনিক্স, মেডিকেল ও নিউক্লিয়ার বর্জ্যের সঠিক ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
[৫] তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ প্লাটফর্মের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মচন করবে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গবেষণার দ্বার উন্মোচন করবে। গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক পন্থা বের হয়ে আসবে। উদ্ভাবনের মাধ্যেমে বর্জ্যকে সম্পদেও পরিণত করা যাবে।
[৬] সভায় প্রফেসর আলমগীরকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি শাখা খোলার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি এই অঞ্চলে সঠিক ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য নির্ধারণে গবেষণা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন।
[৭] ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ সমগ্র বিশ্বের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করে থাকে। এটি প্রতি মাসে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর একটি উন্নতমানের জার্নাল প্রকাশ করে থাকে। এছাড়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ইস্যুতে টাস্ক ফোর্স গঠনসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নীতি নির্ধারকদের গঠনমূলক পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
[৮] ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে আসছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল, পরিবেশ ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট, কারিগরি বিষয়ে অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন নতুন কৌশল ও উদ্ভাবন করছে।