আনোয়ার হোসেন: [২] ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় দুদিন ধরে নিখোঁজ এক তরুণের লাশ ধানখেতে পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের ভান্ডারা পাঁচপীর কবরস্থানের দক্ষিণ পাশের একটি ধানখেত থেকে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
[৩] ওই তরুণের নাম আলিফ রহমান (২১)। তিনি ভান্ডারা এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। আলিফ পৌর এলাকার একটি ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানে চাকরি করতেন।
[৪] পুলিশ জানায়, লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
[৫] খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন রাণীশংকৈল সার্কেল এএসপি হোসেন থানা পরির্দশক এসএম জাহিদ ইকবাল পিবি আই সহকারি পুলিশ সুপার এবিএম রেজাউল ইসলাম ও সিআইডি'র এস আই মিল্লাত হোসন।
[৬] পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আলিফ আর বাসায় ফেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পাননি। শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় একদল শ্রমিক ধান কাটতে গেলে দুর্গন্ধ পান। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে শ্রমিকেরা খেতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পরিবারের লোকজন লাশটি আলিফের বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
[৭] স্থানীয় সূত্রে জানা গোছ, আলিফ মাদকাসক্ত ছিলেন। সম্প্রতি রাণীশংকৈল থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর রাণীশংকৈল পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান গত ২৭ মার্চ রংপুরের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে তাঁকে চিকিংসার জন্য পাঠান। তিন মাস সেখানে থাকার পর আলিফের মা-বাবা তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁকে পৌর শহরের একটি ইলেকট্রনিক দোকানে কাজ পাইয়ে দেন তাঁরা।
[৮] আলিফের বাবা শহিদুল ইসলামের দাবি, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন আলিফ। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। তাঁর ছেলেকে হত্যা করে কেউ ধানখেতে লাশ ফেলে রেখে গেছেন।
[৯] থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার সময় লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।