শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৫৩ দুপুর
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনায় পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়েছে ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ৭৫.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সম্প্রতি আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। যুগান্তর

শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশন ১২ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘শিক্ষার্থীদের ওপর করোনা মহামারির প্রভাব : একটি প্রায়োগিক জরিপ’ শিরোনামে জরিপ চালায়।

এতে সারা দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার ৫৫২ শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ছিলেন ৯৯৯ জন এবং নারী শিক্ষার্থী ছিলেন ১ হাজার ৫৫২ জন।

জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনাকালীন ৭৫.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠ্যবইয়ের প্রতি বিমুখতা তৈরি হয়েছে। ২ হাজার ৫৫২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৪.৬ শতাংশ শিক্ষার্থীই বিষণ্নতায় ভুগেছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেই এ হার বেশি। ৮৬.৮ শতাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের মাঝে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে করোনাকালীন। অন্যদিকে প্রাইভেটে যার হার ৮০.৬ শতাংশ।

মহামারিজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা কোথায় অবস্থান করছিলেন তা পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী (৬৯.৭ শতাংশ) শহরে অবস্থান করেছেন। তবে গ্রামে অবস্থানকারী (৩০.৩ শতাংশ) শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার অবনতি ঘটেছে তুলনামূলকভাবে বেশি যা অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর ৮৬.২ শতাংশ। পুরুষদের চেয়ে এখানে নারীদের মাঝে বিষণ্নতার হার বেশি-পুরুষদের সংখ্যা যেখানে ৮০.৩৮ শতাংশ নারীরা সেখানে ৮৭.৪৪ শতাংশ। করোনাকালে পুরুষদের চেয়ে নারীরা যেহেতু বেশির ভাগ সময় বাসায় অবস্থান করেছিলেন, তাই তাদের মাঝে এই হার বেশি হতে পারে।

তরুণ প্রজন্মের বিষণ্নতার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, তরুণ প্রজন্মের ৭৭ শতাংশই রাতে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যায় না। সঠিক সময় এবং পরিমিত ঘুমের অভাব মানসিক ঝুঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

এই সময়ে যেহেতু ডিভাইসের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে হয়েছে, তাই দিনের বেশির ভাগ সময়ই শিক্ষার্থীদের মোবাইল, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের সামনে থাকতে হয়েছে। ৯৮.৩ শতাংশই বলেছেন, এই কারণে তাদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যা দেখা গেছে। এগুলো হলো- স্মৃতি হ্রাস পাওয়া, মাথাব্যথা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, কাজে মনোযোগ কমে যাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত ইত্যাদি।

মানসিক অস্থিরতার কারণ খুঁজতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, একাকী অনুভব করা, করোনা সংক্রমণের ভয়, পারিবারিক কলহ, পরিবার থেকে বিয়ের চাপ, হীনম্মন্যতা ইত্যাদি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়