মোহাম্মদ আলী আরাফাত: যারা বলেন আমাদের পাকিস্তানের সাথে তুলনা করা উচিত না, আমি তাদের সাথে একমত। আসলেই তো আমরা নিজেদের পাকিস্তানের মতো একটা অভিশপ্ত রাষ্ট্রের সাথে কেন তুলনা করবো? আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের ভারত, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এইসব দেশের সাথে তুলনা করা উচিত। ইদানীং আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় গণমাধ্যম রিপোর্ট করেছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমি ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়গুলো নিয়েও বেশ কিছু পোষ্ট দিয়েছি।
তবে আজকের প্রজন্মের যে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত তা হলো, ১২-১৩ বছর আগেও বাংলাদেশ, অর্থনীতি এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের বেশীর ভাগ সূচকে পাকিস্তানের থেকে পিছে ছিল। গত ১২-১৩ বছরে বাংলাদেশ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পাকিস্তানকে পিছে ফেলে এগিয়ে গেছে, আর তাই বর্তমান প্রজন্ম বাংলাদেশকে কোনো ভাবেই পাকিস্তানের সাথে তুলনা করতে চায় না। এ বিষয়টিকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই।
যদিও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এদেশীয় কিছু সংখ্যক পাকিস্তানের দালালরা এখনো মেনে নিতে পারে না। তাই তারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য হাজির করে কমেন্ট করে এবং দেখাতে চায়, অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখনো পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তাদের এসকল মিথ্যা তথ্যগুলোর প্রতিটিরই জবাব দেয়া সম্ভব কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো এই পাকিস্তানের দালালদেরও কিছু ফলোয়ার গং সেই মিথ্যা তথ্যগুলোকেই সত্য হিসেবে মেনে নেয় এবং দম্ভ দেখায়। এরা ন্যূনতম রিসার্চও করে না।
পাকিস্তানকে পিছে ফেলে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া আজ সূর্যালোকের মতো বাস্তব সত্য। জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্বের তাবৎ অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে পুরো বিশ্বই স্বীকার করে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের মানুষ থেকে শুরু করে এমনকি পাকিস্তানের সামরিক সমর্থনপুষ্ট প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও স্বীকার করে।
স্বীকার করে না শুধু এদেশীয় অন্ধ, অশিক্ষিত, মিথ্যা প্রচারকারী পাকিস্তানের দালালরা, রাজাকার শাবকরা। এই রাজাকার শাবকদের কমেন্ট পড়লে বোঝা যায়, এরা মনে করে পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল। এরা এও মনে করে যে, এখনো পাকিস্তানের অবস্থা বাংলাদেশ থেকে ভালো।
তাই আমিও মাঝে মধ্যেই এই পাকিস্তানি দালাল চক্রের অন্তরে জ্বলন ধরিয়ে দেয়ার জন্যই বাংলাদেশের পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে, তুলনামূলক তথ্য সম্বলিত পোষ্ট দেই। ধন্যবাদ।