রংপুর প্রতিনিধি: [২] রংপুরে নারী সাংবাদিকের ওপর বর্বরোচিত হামলা, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
[৩] বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, নির্যাতিত নারী সাংবাদিক আফরোজা সরকার। এ সময় বক্তব্য রাখেন, ক্লাবের সহ-সভাপতি তাজিদুল ইসলাম লাল, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ আহম্মেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বাবলা, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার, প্রেসক্লাব সদস্য মেরিনা লাভলী, প্রেসক্লাব সদস্য ফরহাদুজ্জামান ফারুক, প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুব রহমান হাবু প্রমুখ।
[৪] রিপোর্টার্স ক্লাব নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, ২০১৯-২১ মেয়াদী প্রত্যক্ষ ভোটে মাজহারসহ বহিস্কৃতরা তাদের পেসক্রিপসন নীলনকশা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নির্বাচিত কমিটির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে রাস্তায় একা পেয়ে মারপিট করেছে। পরবর্তীতে অভিষেক অনুষ্ঠান পন্ডের ষড়যন্ত্র করে বানচাল করে দিয়েছে। তারা ক্লাবের প্যাড, সিল চুরি/ তৈরি করে বিভিন্নভাবে অপব্যবহার করছে। দির্ঘদিন ধরে অব্যাহত ষড়যন্ত্রে মাধ্যমে ক্লাবকে অতিষ্ঠিত করে তুলেছে। সর্বশেষ ষড়যন্ত্র সাধারণ সভায় পরিকল্পিত ন্যাক্কারজনক হামলা।
[৫] অপর একজন বহিস্কৃত সদস্য বাদশা ওসমানী রিপোর্টার্স ক্লাবের ভবন নির্মানের সময় ক্লাবের স্টিলের আলমারী, চেয়ার টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র বাদশা ওসমানীর কাছে গচ্ছিত রাখা হয়। পরবর্তীতে সেগুলো আর ফেরত দেয়নি। এই ঘটনাসহ ক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী নানান অপরাধে বহিস্কৃত হয়। ক্লাবকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টাকারী, ক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডের সুনির্দিষ্ট অপরাধে মাজহারসহ বহিস্কৃত ৬ জনকে পুণর্বহালে মেট্রো পুলিশ ও বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ একটি স্বাধীন সাংবাদিক সংগঠনের ওপর চাপ সৃষ্টি ও অন্যায় আবদার চাপানোর চেষ্টা করছেন।
[৬] সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুব রহমান হাবু সমাপনী বক্তব্যে নারী সাংবাদিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। সম্মেলনে রংপুর প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির বিভিন্ন সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।