ডেস্ক রিপোর্ট: সালমান ও শাখরুখের বন্ধুত্বের খবর অজানা নেই কারো কাছেই। মাঝে সম্পর্কে ধরেছিল ফাটল। তবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে তারা একে ওপরের বন্ধু। শাখরুখপুত্র আরিয়ান খানের গ্রেফতারের খবর শোনার পর মুম্বাইয়ে শাহরুখ খানের বাড়ি ‘মান্নাত’ ছুটে চলে যান সালমান। আনন্দবাজার
রোববার (৩ অক্টোবর) রাতে রেঞ্জ রোভার গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসে আসেন সালমান খান। পরনে ছিল কালো রঙের টিশার্ট মাথায় ছিল টুপি। কারো সাথে কথা না বলে সোজা ভিতরে চলে যান তিনি। শাহরুখ-গৌরীর খারাপ সময়ে সব কাজ ফেলে ছুটে আসেন সালমান।
হাম তুমহারে হ্যা সানাম, করন-অর্জন, কুছ কুছ হোতা হ্যায়সহ একাধিক ছবিতে এক সাথে কাজ করেছেন এ দুই খান।
গত শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে মুম্বাই থেকে গোয়ার উদ্দেশে একটি বিলাসবহুল ক্রুজ যাত্রা করে। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই ক্রুজে যাত্রা করেন তারাও। ক্রুজ মুম্বাই থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণের মাঝেই শুরু হয় পার্টি। এনসিবির কাছে খবর ছিল, মাঝ সমুদ্রে কর্ডেলিয়াতে পার্টি হবে এবং সেখানে মাদক সেবন করা হবে। পার্টির মাঝপথে অনেকেই যখন মাদক সেবনে টাল-মাতাল অবস্থা ঠিক সেই অবস্থাতেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন এনসিবির সদস্যরা। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর টাকার নিষিদ্ধ মাদক। তার মধ্যে কোকেন, হাশিশ, এমডিএমএ-র মতো মাদকও ছিল।
সেই পার্টিতে জামাকাপড় ও মেয়েদের ব্যাগের হাতলের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মাদক। শাহরুখপুত্রের লেন্স রাখার বাক্স থেকেও নাকি মাদক উদ্ধার করেন এনসিবি-সদস্যরা । আরিয়ানের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় মুনমুন ধমেচা, আরবাজ মার্চান্টকে, ইশমিত সিংহ, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রম ছোকার এবং গোমিত চোপড়াকে। শনিার রাতের মাদক পার্টিতে ছিলেন এরা প্রত্যেকেই।
দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর আরিয়ান খান মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেন এনসিবির কাছে। আদালত সোমবার পর্যন্ত তাকে এনসিবির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।