রেজা আলী পাটোয়ারী : ‘ক্লিন ফিড’র চল নতুন নয়। সমস্যা হলো ক্যাবল অপারেটর! গোড়ায় গলদ। ডিশ দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের ধান্ধায় অভ্যস্ত মানসিকতা রাতারাতি পাল্টে ফেলা সম্ভবপর নয়, যদি না তাদের সদ্দিচ্ছা থাকে। প্রশ্ন হলো ‘তারা’ কীভাবে ভিনদেশের অপারেটরের ন্যায় আচরণ করবে? ভিনদেশি চ্যানেল তাদের কেন গুনায় ধরবে কিংবা আমলে নেবে! সরকার এই সকল দুইনম্বরীকে প্রণোদনা দিয়েই চলেছেন চাকরির বাজারের স্বার্থে-সর্বত্র-সবক্ষেত্রে!
প্রকারান্তরে দিনের শেষে সরকার জিম্মি হচ্ছেন। চাপে পড়ে অন্যায় আবদার এক কথায় দুইনম্বরী মেনে নিচ্ছেন। দুইনম্বরী দিয়ে কী একনম্বরী হয়, হয়েছে কখনো? প্রশ্ন হলো ভিনদেশে কেন ‘ক্লিন ফিড’ নিয়ে কোনো ঝামেলা হয় না। সেটা কী নীতি-নির্ধারকরা তলিয়ে দেখেছেন? সরকার, ভিনদেশি চ্যানেল আর অপারেটর এই তিন পার্টির মাঝে কথিত অপারেটররা পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়ার পরেও কেন তার সঠিক ব্যবহার করেননি? ওই দুইনম্বরী মানসিকতা। সময় নির্ধারণ করে দিলাম এবং তারপর চাক্কা বন্ধ করে দিলাম এই সহজ রাস্তা ছেড়ে যদি প্রতিনিয়ত তদারকি না করেন সরকারি সংস্থাগুলো তবে এই রকম পরিস্থিতি সবক্ষেত্রে-সর্বত্র অহরহ ঘটতে থাকবে। হচ্ছেও! টনক আর নড়ছে কই। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে দিনের শেষে যদি মাইক্রো ম্যানেজমেন্টে নামতে হয় তবে বাকিদের কী প্রয়োজন? ফেসবুক থেকে