শাহীন খন্দকার : [২] বিএসএমএমইউ’র বক্ষব্যাধি বিভাগের এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রোগীরা নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জটিলতার মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, নাকে গন্ধ কম পাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া। বয়স্কদের এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি।
[৩] গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পাচঁশতরোগীর মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ ছিলেন নারী। রোববার বক্ষব্যাধি বিভাগে, ‘পোস্ট কোভিড-১৯ পালমোনারি ফাইব্রোসিস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে গবেষণার এ ফল জানানো হয়। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মো. মিরাজুর রহমান, ডা. মো. আব্দুর রহিম, ডা. মো. আহাদ মুরশিদ।
[৪] উপাচার্য বলেন, করোনা-পরবর্তী অনেক রোগীর ফুসফুসের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ায় রোগীর রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায় না। রোগী এ সময় অক্সিজেন স্বল্পতায় ভোগে। কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা দেখা যায়। একে পালমোনারি ফাইব্রোসিস বলে। এই রোগে ফুসফুসের নরম অংশগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
[৫] এতে ফুসফুসের টিস্যু মোটা ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে ফুসফুসে বাতাসের থলিগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী নেগেটিভ হওয়ার পরও নিয়মিত ফলোআপে থাকা প্রয়োজন। যথাসময়ে যথাযথ চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :