আবু হাসাদ: [২] কর্থিত প্রেমিকার (২২) প্রতারণার ফাঁদে পড়ে তাকে বিয়ে করেন আব্দুল বারিক (৩০)। আর বিয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই সে স্ত্রী কৌশলে তাদের আপত্তিকর দৃশ্য স্বামীর মুঠোফনে ধারণ করেন। এরপর স্বামীর ফোন ব্যবহার করে তার বন্ধু মহলে সরবরাহ করেন। এরপর সেই স্বামীকে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগি বারিক তার স্ত্রীর দাবি অনুসারে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। যার কারণে স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাকে আটক করেছেন।
[৩] ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের পানানগর গ্রামে। আর কর্থিত ওই স্ত্রীর বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার সমেসপাড়া গ্রামে।
[৪] নাম প্রকাশ না করা শর্তে থানার একজন উপ-পরিদর্শক বলেন, এর আগেও ওই দুটি বিয়ে করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী একটি প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত। ওই চক্রটি এই নারীকে দিয়ে বিয়ের নামে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ারর চেষ্টা করছেন কিনা এ বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে। তবে যেহেতু মুঠোফোনে কিছু আপত্তিকর ভিডিওসহ মামলা করেছেন। সেই মামলার সূত্রে বারিককে আটক করা হয়েছে।
[৫] মামলার বাদী ওই নারী বলেন, মুঠোফনে দু’মাস আগে বারিকের সঙ্গে আমার সস্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৬ আগস্ট ঢাকায় একটি কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। এরপর আমরা পুঠিয়াতে চলে আসি। সম্প্রতি বারিকের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া আমি ঢাকায় চলে আছি। সেখানে একজনের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা চলছিলো। আর বারিক ওই ছেলের মুঠোফনে আমাদের আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। সে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
[৬] বারিকের সঙ্গে তালাক না হতে আরেক জনের সঙ্গে কিভাবে বিয়ে করছেন এমন প্রশ্নে ওই নারী বলেন, এটা আমার ব্যাক্তিগত বিষয়। আর কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিতে একাধিক বিয়ে করার অভিযোগ তুলেছেন আটককৃত বারিক এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে পরে কথা বলবেন বলে থানা থেকে বের হয়ে যান।
[৭] অভিযুক্ত স্বামি বারিক বলেন, আমি আগে জানতাম না এটা একটি চক্র। আর আমি ওই মহিলাকে বিয়ে করে প্রতারণার শিকার হয়েছি। এই মহিলার সঙ্গে বড় একটি চক্র আছে। তারা বিয়ের নামে জিস্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। আমার জানামতে, প্রবাসীসহ তিন-চারটি বিয়ে ইতোমধ্যে সে করেছে এবং কৌশলে সকলের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়েছে। আর স্বামি-স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পক হবে এটা স্বাভাবিক। আর আমার বিরুদ্ধ ভিডিও ছড়ানোর বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। তবে বিয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই ওই মহিলা আমার কাছে তালাক চায়। সে দেনমোহর ও দুই বছরের খোরপোষ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তার চাহিদা মতো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সে ষড়যন্ত্র করছে।
[৮] থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ওই নারী বাদী হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দিয়েছেন। মামলা অনুসারে অভিযুক্তকে আটক করেছি। তবে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলেও সঠিক তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে ওই নারীর ব্যাক্তিগত বিষয়গুলো জানতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেয়া শুরু করা হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি