সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। মাঠের চারপাশে যে মার্কেট আছে সেটা ভেঙ্গে নতুন করে মার্কেট হবে। মাঠের জায়গায় বড় মাঠ থাকবে, শিশুদের জন্য খেলার জায়গা ও ওয়ার্কওয়ে থাকবে।
[৩] ডিএসসিসির দায়িত্বশীল সূত্র ও সম্পত্তি বিভাগ জানায়, জায়গাটি সিটি করপোরেশনের। কিন্তু এই মাঠটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা খেলাধুলা করে। এটি কোন ভাবেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জায়গা নয়। ইতোমধ্যে মাঠটি নিয়ে ডিএসসিসির মেয়র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে।
[৪] সম্পত্তি বিভাগ জানায়, মেয়র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই মাঠের জায়গাটির কাগজ দেখাতে বলেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন কাগজ দেখাতে পারেন নি। বর্তমানে যে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে তা আগামী বছর জুনের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আগামী বছর পুরান ঢাকাবাসী নতুন রুপে ধূপখোলা ও তার আশপাশের এলাকাকে দেখতে পারবে।
[৫] এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ উল্লেখ করে ডিএসসিসি কর্তৃক মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
[৬] বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে প্রথমে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে রাস্তার উপর সকলে একত্রিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল।
[৭] বিশ্ববিদ্যালয় একটি সূত্র জানায়, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য নিজস্ব কোনো মাঠ না থাকায় ধূপখোলা খেলার মাঠটি তিন ভাগ করে এক ভাগ তৎকালীন সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ব্যবহার করার জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি খেলার মাঠ হিসেবে ধূপখোলা মাঠটিকে ব্যবহার করছে। এই মাঠেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।