জবি প্রতিনিধি: [২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার পাটিকেলবাড়ি ইউনিয়নে। তিনি আত্নহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
[৩] বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্র গত এক মাস আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে অনেকটা নিশ্চুপ ছিল। গতকাল বুধবার রাতের বেলায় বাবা-মাকে ঘরের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে সে গাছের ডালে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮ টার দিয়ে লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। পরে লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[৪] তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তার সহপাঠী ও বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
[৫] গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাফসান জানি খান বলেন, উনি আমাদের ২ বছরের সিনিয়র ছিলেন। বিভিন্ন সমস্যায় ২ বছর গ্যাপ দিয়েছেন। সিনিয়র হওয়াতে আমরাও তেমন জোর করে সম্পর্ক করতে যেতাম না। উনিও দরকার ছাড়া আমাদের সাথে কথা বলতেন না। ধারণা করা হচ্ছে উনি মানসিকভাবে হতাশা থেকেই এমনটি করেছেন। তিনি অসাধারণ মানুষ ছিলেন।
[৬] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহ মোঃ নিসতার জাহান কবির বলেন, অমিতোষ ক্লাসে খুব চুপচাপ থাকতো। শিক্ষক হিসেবে তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়াটা প্রচন্ড কষ্টদায়ক। তার বন্ধুরা বা প্রতিবেশীরা কেউই কারণ বলতে পারছে না। তার ফেসবুক পোস্ট বা কোন তথ্য যদি আমার চোখে পরতো তবে বোঝানোর চেষ্টা করতাম। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।