সালেহ্ বিপ্লব: [২] তার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
[৩] বুধবার রাতে অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীরা তাকে গুলী করে হত্যা করে। মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিব উল্লাহ ও মুহিবুল্লাহর তৈরি ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ (এআরএসপিএইচ)পন্থীরা বলছেন, বিতর্কিত সংগঠন ‘আরসা’-এর নেতারাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
[৪] হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্পের একটি মসজিদে বুধবার এশার নামাজ শেষ করে দু’ভাই একসঙ্গে বের হই। এরপর এআরএসপিএইচ-এর অফিসে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় ২০-২৫ জনের বন্দুকধারী দল সেখানে এসে তাকে গুলি করে। ওই অফিসে থাকা অন্যদের মারধর করে ছেড়ে দিলেও মুহিবুল্লাহকে গুলি হত্যা করে তারা।
[৫] তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার ভাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের সবসময় বলতেন আমাদের (রোহিঙ্গা) আমাদের দেশে (মিয়ানমারে) ফিরে যেতেই হবে। প্রত্যাবসনে তার দৃঢ়তার জন্য সাধারণ রোহিঙ্গারাও তাকে ভালোবাসতেন, বিশ্বাস করতেন। রোহিঙ্গাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আমার ভাই এগিয়ে আসতেন। তাদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছিলেন। বিতর্কিত ‘আরসা’ ও ‘আল-ইয়াকিন’র নেতারা সহ্য করতে পারতেন না। তারা বলতেন, এখানে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমরাই সিদ্ধান্ত নেবো। সবকিছু করবো। তুকে কেন নেতা মানা হবে? এমন ঈর্ষা থেকেই মুহিবুল্লাহ হত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্যাম্পের ‘আরসা’ নেতারা। এরর মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন কথিত 'আল ইয়াকিনের' সদস্য।’’