শিরোনাম
◈ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা ◈ প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে কীভাবে ভোট দেবেন, জানালেন ইসি ◈ তারুণ্যের শক্তি আমাদের জাতির চালিকাশক্তি : প্রধান উপদেষ্টা ◈ দেশে নিবন্ধিত কোচিং সেন্টার ৬,৫৮৭, অনিয়ন্ত্রিত আরো বহু; নীতিমালা শূন্যতায় বাড়ছে বাণিজ্যিকীকরণ ◈ অনলাইন জুয়ার অর্থ লেনদেনে দুই অভিনেত্রী গোয়েন্দা নজরে ◈ রাবি হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৯ প্রার্থী ◈ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে যেভাবে ধরা পড়ল ৫০ প্রতারক! (ভিডিও) ◈ জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল যুগপৎ আন্দোলনে নাম‌ছে, কিন্তু কেন ◈ ভ্যালেন্সিয়ার জা‌লে বার্সেলোনার ৬ গোল ◈ পিআর আদায়ে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোতে মতভেদ

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:২৭ রাত
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শরিফুল হাসান : চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদ, প্রশাসন, নগর কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে বলবো, একটু দায়িত্বশীল হোন

শরিফুল হাসান : আমি আমাদের উচ্চ আদালতসহ নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই ঘটনার বিচার হতেই হবে। ছবির মতো সুন্দর ছিলো আমার বেড়ে ওঠার শহর চট্টগ্রাম। আজ সেই চট্টগ্রাম নোংরা-আবর্জনায় ভরা অপরিকল্পিত এক শহর। শহরটা আজ এতোটাই অনিরাপদ যে হাঁটতে হাঁটতে আপনি পড়ে যেতে পারেন কোনো নালায়। মুহূর্তেই থেমে যেতে পারে জীবন। এই যেমন থেমে গেলো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাদিয়ার জীবন।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নানার সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে হেঁটে যাচ্ছিলেন। আগ্রাবাদ কিন্তু চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সেই আগ্রাবাদের ফুটপাত থেকে পা পিছলে নালায় পড়ে যান শেহেরীন। মামা ও নানা লাফ দিয়েও তাঁকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত তিনটায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন। চট্টগ্রামে এই ঘটনা তো এবারই প্রথম নয়। কয়েকদিন আগে মাঝিরঘাট এলাকায় আরেকজন লোক এভাবে নালায় পড়ে আবর্জনায় তলিয়ে গেছেন, তাঁর লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। এর ঠিক একমাস আগে, ২৬ আগস্ট, মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে হারিয়ে গেছে ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। তাঁর লাশটাও পাওয়া যায়নি। এর আগেও নাকি এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। আমি জানি না আর কতো মানুষ মরলে আমাদের হুশ হবে।

চট্টগ্রাম শহরের দায়িত্বশীলদের আমার বরাবরারই দায়িত্বহীন মনে হয়েছে। সাদিয়াকে হারানোর শোক অনেকটাই ক্ষোভে পরিণত হয়েছে মামা জাকির হোসেনের। সেবা সংস্থাগুলোর কাজে অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সব শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। একটি নালা খোলা পড়ে আছে। কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। একটা নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকলে আজ ভাগনি বেঁচে যেতো। এগুলো কে দেখবে? আমি জানি না এগুলো কে দেখবে? জানি না এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদ, প্রশাসন, নগর কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে বলবো, একটু দায়িত্বশীল হোন। এভাবে একটা শহরকে আর মানুষের জীবনগুলোকে মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলবেন না প্লিজ! আর চট্টগ্রামবাসীকেও বলবো, আপনারা একটু সোচ্চার হোন। এই দেশের সবচেয়ে সুন্দর শহরটা কেন এভাবে নোংরা আবর্জনা আর অনিরাপদ শহরে পরিণত হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলুন। আমার প্রিয় শহর চট্টগ্রামের এমন করুণ পরিণতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। কোনোভাবেই না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়