শিরোনাম
◈ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা, নিহত অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি ◈ অনুমতি ছাড়াই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষমতা পাচ্ছে দুদক ◈ ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু ◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহসান হাবিব : অনিন্দ্যসুন্দরী নারীর দল

আহসান হাবিব : বসেছিলাম চিলেকোঠায়। তখন আকাশে চাঁদ ছিলো, ছিলো পূর্ণিমা। ছাদে আমার বিবিধ ফুলের গাছ। তারা গন্ধ বিলিয়ে আমাকে মুগ্ধ করছিলো। আমি তখন মর্তে উপভোগ করছিলাম স্বর্গীয় আনন্দ। যদিও স্বর্গ আছে বলে আমার মনে হয় না, কিংবা নরক। এসব বানানো গল্প। হঠাৎ একটা বাতাস আমাকে উড়িয়ে নিয়ে চললো। আমি বাতাসের পাখায় ভর করে উড়ে চললাম। আমি মহাশূন্যে ভাসছিলাম। মনে হলো মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিলোপ ঘটেছে। আমি উড়ছি তো উড়ছি। ক্রমে চিলেকোঠা আমার কাছে একটা বিন্দুর মতো লাগছিলো। জানি না বাতাস আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে।

হয়তো তারও আছে নিজস্ব আলয়, আছে অনিন্দ্যসুন্দরী নারীর দল। আমি কেন নারীর থাকার কথা ভাবলাম জানি না, শুধু জানি বাতাস তার সংগীতের মতো নরম এবং পেলব। আর কে না জানে এসব সে পেয়েছে নারীদের কাছ থেকেই। উড়তে উড়তে আমরা পৌঁছে গেলাম এক সমুদ্র তটে। তখন সমুদ্র শান্ত ছিলো। তার বুকে ছিলো ছোট ছোট ঢেউ। আকাশ থেকে বি”্ছুরিত চাঁদের আলো সমুদ্রের ওপর পড়লে সেখানে তৈরি হচ্ছিলো এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। আমি আমার নয়ন মেলে তা উপভোগ করতে লাগলাম।
বাতাস আমাকে সমুদ্রের ওপর ফেলে দিলো। আমি ভরহীন পালকের মতো অতি মন্থর গতিতে নিচে নামতে লাগলাম এবং নামতে নামতে সমুদ্রের গভীরে প্রবেশ করলাম। সেখানে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো অসাধারণ এক অভ্যর্থনা। মাছেরা আমাকে গ্রহণ করলো গান গেয়ে। আমি মাছেদের প্রাসাদে অতিথি হিসেবে দিন কাটাতে লাগলাম। আমার খাদ্যের কোনো অভাব ছিলো না। মাছেরা আমাকে সঙ্গ দিতো। এমনকি তারা আমার সঙ্গে সংগম করতো।

সংগমের ফলে মাছেরা গর্ভবতী হয়ে পড়লো এবং একদা তারা সন্তান প্রসব করলো। মাছ নয়, আবার মানুষ নয়, এমন সন্তানে ভরে উঠলো সাগরের তলদেশ। তখন একদিন মাছেদের সর্দার আমাকে আমার সব সন্তান নিয়ে সমুদ্র ত্যাগের নির্দেশ দিলো। আমি তার নির্দেশ পালন করি, আমি আমার অগণিত সন্তান নিয়ে সমুদ্র থেকে উপরে উঠে আসি। বাতাস আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো। আমরা সবাই তার পাখায় উঠে বসলাম। বাতাস আবার আমাদের নিয়ে উড়ে চললো। উড়তে উড়তে সে আমাদের নামিয়ে দিলো আমারই রেখে যাওয়া চিলেকোঠায়। চিলেকোঠা ভরে উঠলো কলহাস্যগীতিতে। ফুল থেকে তখনো সুবাস ছড়াচ্ছিলো আর আমরা সেই সুবাস গায়ে মাখছিলাম মহানন্দে। লেখক : ঔপন্যাসিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়