লিহান লিমা: [২]মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন সতর্ক করে বলেছেন, আইনপ্রণেতারা যদি ঋণের সীমা বাড়াতে পদক্ষেপ না নেয় তবে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অর্থশূন্য হয়ে পড়বে মার্কিন সরকার। ইয়েলেনের অনুমান আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেকে ঋণখেলাপী হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি হলে বাজার, অর্থনীতি এবং লাখ লাখ আমেরিকানদের নগদ অর্থ প্রবাহে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। সিএনএন
[৩]ইয়েলেন এক চিঠিতে লেখেন, এই তারিখের পর আমরা দেশের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারবো কি না তা অনিশ্চিত। এর আগে দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট অনুমান করেছিলো অক্টোবরের কিছু সময়ের মধ্যে দেশটির নগদ ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নাগালের বাহিরে চলে যাবে। সিনেটের রিপাবলিকানরা ঋণের সীমা স্থগিত করার একটি বিল অবরোধ করার কয়েক ঘণ্টা পর এই সতর্কবার্তা আসলো।
[৪] ইয়েলেন জানান, ১৮ অক্টোবরের সময়সীমা কেবল একটি অনুমান মাত্র কারণ ফেডারেল সরকারের নগদ অর্থ প্রবাহ অনিবার্যভাবেই পরিবর্তনসাপেক্ষ। তিনি উল্লেখ করেন, অর্থায়ন ব্যাতীত সরকারের মোট দৈনিক নগদ প্রবাহ গত বছর প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার এমনকি ৩০০ বিলিয়ন ডলারও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
[৪]এর আগে মঙ্গলবার মার্কিন সিনেট আংশিক সরকারী শাটডাউন এড়াতে ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়। ফলে এখন মার্কিন সরকারকে বৃহস্পতিবারের পরও সরকার খোলা রাখার অন্য উপায় দেখতে হবে এবং অক্টোবরের শেষের দিকে বা নভেম্বরের শুরুতে সরকারের ঋণ খেলাপি হওয়ার পূর্বে ঋণের সময়সীমা বাড়াতে হবে।
[৫]সিনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককলিন বলেন, ‘আমরা ডেমোক্রেটদের ঋণের সময়সীমা বাড়াতে সাহায্য করতে রাজি নই কারণ তারা ব্যাপক কর আরোপ করেছে এবং ঐতিহাসিক অনুপাতে ব্যয় করেছে। এদিকে ডেমোক্রেটরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ই মার্কিনিরা সবচেয়ে বেশি ঋণের বোঝাগ্রস্ত ছিলেন।’
[৬]সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ খেলাপী হওয়া থেকে রক্ষা করতে উভয় দলই ঋণের সীমা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়ে এসেছে। এবার তা না হওয়ায় সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেন, এ যাবতকালের সবচেয়ে বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। এতে তারা নিজেদের খেলাপি অবস্থানকে আরো ভালোভাবে দেখিয়েছে।