সুজন কৈরী :[২] সোমবার রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পীর আব্দুল মুত্তালিব চিশতিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের একটি টিম।
[৩] মঙ্গলবার ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, যেসব মন্ত্রণালয় সারাদেশে ব্যাপক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, সেই মন্ত্রণালয়গুলোতে আব্দুল মুত্তালিব চিশতির আনাগোনা বেশি। মন্ত্রণালয়ে ঘুরে মন্ত্রী ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুলতেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ঘুরে ঘুরে বয়ান করতেন। তার লম্বা বয়ান ও মোনাজাতে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখতেন। কোনো ভক্ত ফোন করলে, সুযোগ বুঝে তাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন।
[৪] তিনি আরো বলেন, একটি চক্রকে নিয়ে তিনি আওয়ামী নির্মাণ শ্রমিক লীগ গড়ে তুলেছেন তিনি। কথিত এ দলে বাগিয়ে নিয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ। দলের নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতেন।
[৫] তিনি আরও জানান, মুত্তালিবের ঘরে দুই স্ত্রী ও অসংখ্য মুরিদ রয়েছে। অথচ তিনি দুটি সমকামিতার ওয়েবপেজ পরিচালনা করেন। ওই পেজের মাধ্যমে শতাধিক ছেলেবন্ধু বানিয়েছেন তিনি। তাদের সঙ্গে অস্বাভাবিক ও বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতেন। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুটি মামলা হয়েছে। তবে অনেক ভুক্তভোগীরা লজ্জায় অভিযোগ করছেন না। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ