রাকিবুল আবির: [২] শুক্রবার হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত হলো কোয়াড নেতাদের সরাসরি বৈঠক। হোয়াইট হাউজের এই বৈঠকে অংশ নেন কোয়াড সদস্যভুক্ত ৪ দেশের শীর্ষ নেতারা। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান- এ চার দেশের সম্মিলিত জোট কোয়াড। বৈঠকে দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা করোনার ভ্যাকসিন সহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত হন। আলজাজিরা
[৩] বৈঠক শেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, চার দেশের নেতারাই প্রতিবছর এমন বৈঠক করার জন্য একমত প্রসন করেছে।
[৪] শুক্রবারে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকই ছিলো ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াড জোটের সরাসরি কোনো বৈঠক। দুই ঘণ্টার এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল করোনাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। এছাড়াও আরেকটি মূল লক্ষ্য হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করা।
[৫] বৈঠকের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোটের ৪ সদস্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতের (এসটিইএম) ওপর ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কোয়াডের মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে একসঙ্গে কাজ করবে সদস্য দেশগুলো। করোনা মহামারিসহ জলবায়ু ও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন তারা। তিনি আরও বলেন, কিভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়, তা আমরা ভাল করেই জানি।
[৬] অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, আমরা একটি উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল দেখতে চাই। আর তাই এই অঞ্চলে যেকোনো বাহ্যিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াবোই।
[৮] মতো প্রসন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি বলেছেন, কোয়ড জোটটি বৈশ্বিক উন্নয়নে একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
[৭] এদিকে, শুক্রবারের এ বৈঠক নিয়ে ব্যপক সমালোচনা করেছে চীন।