হারুন-অর-রশীদ: [২] জেলা সদর উপজেলার ডিক্রির চর ইউনিয়নের পদ্মা নদী সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ৭০ ফুট অংশের সি সি ব্লক ধ্বসে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার রাতে দু-দফা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তীর সংরক্ষণ বাঁধ। এ ভাঙনের কারণে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
[৩] জানা যায়, ডিক্রির চর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ওবায়দুলের বাড়ি সংলগ্ন তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধ্বস শুরু হয়েছে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শনে যান।
[৪] ডিক্রির চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান, জরুরীভাবে ভাঙনের ব্যাপকতা প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে, অন্য দিকে পদ্মা নদীর ওপর পাড়ে বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
[৫] স্থানীয়রা জানান, নদীর স্বাভাবিকতা না থাকায় প্রতি বছরই বাড়ি ঘর ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ৩০ বছরে ফরিদপুরের মানচিত্র থেকে ডিক্রির চরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, বসতি ও কৃষি জমি হারিয়ে গেছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য পরিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে কোন মতে বাস করছে। আমরা চাই উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ হোক।
[৬] এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরীভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনের গভীরতা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৭] নদীর ওপর পাড়ের ভাঙনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তো নদী থেকে জেগে উঠা বালু চর। তাইতো ওইখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে কোন লাভ হবে না। পরবর্তীতে অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রকল্প গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :