সোহাগ হাসান: [২] সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে নৌকায় মৌসুমী পাটের হাট জমে উঠেছে। এতে পাট কেনাবেচার ঐতিহ্য ফিরে এসেছে জেলায়। পাটের দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।
[৩] জানা যায়, বর্ষার পানি কমে যাওয়ার পর থেকে উপজেলার নাটুয়ারপাড়া হাট ঘিরে নৌকায় এ পাট কেনাবেচা হচ্ছে। বর্তমানে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা এখন খুশি। উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার উৎপাদিত পাট কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে।সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার সকাল থেকে নৌকায় এ হাট শুরু হয়। এ অঞ্চলের সোনালী আঁশ (পাট) কেনা বেচায় এখন নৌকার হাট বেশ জমে উঠেছে। বর্তমানে ৩ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় গড়ে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে।
[৪] উপজেলা চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, মাইঝবাড়ি, তেকানি, মনসুর নগর, চরগিরিশ অঞ্চলে এবার পাট চাষ বেশি হয়েছে। এ অঞ্চলের নাটুয়ারপাড়াসহ বিভিন্ন হাট ঘিরে নৌকায় লাখ লাখ টাকার পাট বিক্রি হচ্ছে। এসব হাটে বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরের ব্যবসায়ীরা পাট ক্রয় করতে আসছে।
[৫] পাট ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সোলেমান শেখ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পাটের আমদানি ভালো। কৃষকেরা পাটের দামও ভালো পাচ্ছে এবং এ অঞ্চল থেকে পাট ক্রয় করে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
[৬] এদিকে এ পাট কাটার শুরু থেকে যমুনা নদীতে পানি ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকে এবং লাভজনক এ পাট কৃষকেরা ঘরে তোলার পর পরই যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এ বন্যার পানি ক্রমাগতভাবে নেমে যাওয়ায় নৌকায় পাট বেচাকেনা জমে ওঠে।
[৭] উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম বলেন, এবার বন্যায় পাটের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। কারণ বন্যা আসার আগেই কৃষকেরা পাট কেটেছে। পাট চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেয়ায় তারা এ সুফল পাওয়া পাচ্ছে।
[৮] কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, চরাঞ্চলের অধিকাংশ হাটে নৌকায় পাট বিক্রির বিষয়টি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও পাট অধিদপ্তরের কাজিপুর অফিসের পরামর্শে এখানে পাট চাষাবাদে লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা। সরকারের নির্দেশনা রয়েছে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি