শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র, পুলিশ মোতায়েন ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত ◈ চুয়াডাঙ্গায় পানের বরজে আগুন ◈ মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি ◈ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি ◈ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি ◈ মানবপাচার ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি প্রধান ◈ চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি ◈ কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি গ্রেপ্তার  ◈ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব: প্রধান বিচারপতি 

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৪৭ রাত
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শরিফুল হাসান: দেশের স্বার্থেই দুর্নীতির অনুসন্ধান জরুরি

শরিফুল হাসান: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আবদুল মালেককে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এই রায় দেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় গাড়িচালক মালেক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তিনি এই আদালতে ন্যায়বিচার পাননি। এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি আসলে খুব করে চাই, তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির ঘটনায়গুলো যথাযথ তদন্ত হোক। কারণ, গত বছরের ঠিক আজকের দিনে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওঠে। যদি সেগুলো সত্যি হয়, আমি চাই দুর্নীতির মামলায় তার সাজা হোক। তার সঙ্গে কারা জড়িত সেগুলো বেরিয়ে আসুক।

এ দেশের স্বার্থেই এই দুর্নীতির অনুসন্ধান জরুরি। আপনাদের হয়তো মনে আছে, মালেককে গ্রেপ্তারের পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছিলো, দক্ষিণ বামনারপাড়া রমজান মার্কেটের উত্তর পাশে ছয় কাঠা জায়গার ওপর সাততলার দুটি আবাসিক ভবন রয়েছে। এতে ফ্ল্যাট আছে ২৪টি। ওই ভবনের সামনে আছে ১০ থেকে ১২ কাঠার আরেকটি প্লট। ভবনের তৃতীয় তলায় তিনি সপরিবার থাকেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া। বড় মেয়ে বেবির নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জায়গার ওপর ইমন ডেইরি ফার্ম নামের গরুর খামার আছে। এর বাইরে হাতিরপুলে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাড়ে চার কাঠা জায়গার ওপর ১০তলা ভবন নির্মাণাধীন। এই গ্রেপ্তারের পর আমি লিখেছিলাম, স্বাস্থ্যে কী এক আশ্চর্য প্রদীপ আছে। এখানকার কর্মচারী আবজালের হাজার কোটি টাকার সম্পদ, এখানকার গাড়ি চালকের ঢাকায় দুটি সাততলা ভবন, নির্মাণাধীন একটি দশ তলা ভবন, ২৪ টা ফ্ল্যাট, জমি, গরুর খামার।

তারপরও নাকি সব সম্পদের খোঁজ শেষ হয়নি। মাঝে মাঝে ভাবি, গাড়ি চালক বা কর্মচারীদের যদি এতো সম্পদ হয় সেখানকার বড় স্যারেরা না জানি কতো শত কোটি টাকার মালিক। এইযে দেখেন আমরা এতো পরিশ্রম করে, অনেকেই দেড়-দুই লাখ টাকা বেতন পেয়েও আমরা এই শহরে মাথা গোঁজার একটা ঠাই পাই না, এক মাসের বেতন না পেলে পরের মাসে হয়তো বাসা ভাড়া দিতে পারবো না, আর একজন অস্টম শ্রেণি পাস গাড়িচালকের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। কী আশ্চর্য প্রদীপ তাই না? সেদিন লিখেছিলাম, একজন গাড়ি চালক বা কর্মচারীই যদি এতো রাজ্য আর সম্পদের মালিক হন তাদের স্যারেরা না জানি কতো শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এ কারণেই আমি চাই দুর্নীতির অভিযোগগুলোর যথাযথ তদন্ত হউক। কী করে স্বাস্থ্যে হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে এগুলো অনুসন্ধান জরুরি। শুধু করোনা মহামারীর গত দুই বছরে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মগুলো অন্তত তদন্ত হউক। এই দেশের স্বার্থেই এগুলো জরুরি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়