খালিদ আহমেদ : [২] ফাইরুজ ফাইজা বিথার ‘গোলকিপার্স গ্লোবাল গোল চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পেয়েছেন। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার দেয়। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে গোলকিপার্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ফাইরুজ।
[৩] ফাইরুজ ফাইজা ‘মনের স্কুল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।
[৪] গোলকিপার্সের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২১ চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত বাংলাদেশের ফাইরুজ ফাইজা বিথার পরিবর্তন আনার অনুপ্রেরণায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে এবং নেতৃত্বের জায়গায় থেকে সুস্বাস্থ্য ও মানুষের ভালো থাকার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
[৫] জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে (এসডিজি) সহায়তা করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে এমন ব্যক্তিদের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার দেয়।
[৬] বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার বিল গেটস বলেন, ‘বিশ্বের সর্বত্র চলমান বৈষম্য কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। তবে এ প্রতিকূলতার মধ্যেও যে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, এ চার মহিয়সী নারী তা করে দেখিয়েছেন।
[৭] বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সিইও মার্ক স্যুজম্যান বলেন, ‘নারীরা কীভাবে উদ্ভাবনী উপায়ে আমাদের সমাজ এবং দেশগুলোর পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এ পুরস্কারের বিজয়ীরা তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
[৮] গোলকিপার্স ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ‘গোলকিপার্স গ্লোবাল গোল অ্যাওয়ার্ড এর জন্য আরও তিনজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
[৯] ২০২১ গ্লোবাল গোলকিপার্স অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে জাতিসংঘের নারী শাখার সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমজিলে মলাম্বো নকুকাকে। বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, বৈশ্বিক লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান এবং নারীদের ওপর অতিমারির প্রভাব নিয়ে ক্রমাগত সচেষ্ট হওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর মলাম্বো নকুকাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
[১০] এ বছর অন্য দুটি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে কলম্বিয়ার জেনিফার কলপাস ও লাইবেরিয়ার সাট্টা শেরিফকে।
[১১] গত সপ্তাহে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের পঞ্চম বার্ষিক গোলকিপার্স প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোলকিপার্স গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হল।
[১২] খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন থেকে ডিগ্রি অর্জন করা ফাইরুজের মানসিক স্বাস্থ্যে আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, ১৩ বছর বয়সে তার বাবা খুন হন। ছোট থাকায় বিষয়টি ভালো বুঝতে না পারলেও হঠাৎ একজন মানুষকে হারানোর শোকটা কাটিয়ে উঠতে অনেকভাবে সাহায্যের প্রয়োজন হয় বলে জানান তিনি। তখন আশেপাশের মানুষদের দেখে মনে হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য খুবই জরুরি। কিন্তু এদেশে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আর তাই সাতজন মিলে মনের স্কুল শুরু করেন তারা।