ওমর ফারুক লুক্স: মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে টানা ১০ বা ১২ বছর হাঁড়ভাঙা পরিশ্রম করে জমানো ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মাফিয়া দালালদের হাতে তুলে দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করার স্বপ্নে বসনিয়ার জঙ্গলে অথবা লিবিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে আটকা পড়ে আছে হাজার হাজার বাঙালি তরুণ। যারা ইউরোপে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে, তাদের মধ্যেও ৮০ হাজার বাংলাদেশি তরুণেরা অবৈধভাবে প্রবেশ করার অপরাধে বছরের পর বছর ধরে অনিশ্চিত আর মানবেতর জীবনযাপন করছে ইউরোপের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে আর জেল খানায়। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে তারা বৈধ শ্রমিক হিসেবেই ছিলো, সেখানে তাদের একটা চাকরিও ছিলো। ১৯৯৬ সালে শেয়ার বাজারে লাখ লাখ টাকা হারিয়ে আবারো ২০০৯-১০ সালে সর্বস্ব হারিয়েছে, এরকম বাঙালি তরুণদের সংখ্যা লাখ লাখ। ডেসটিনির মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে আবারও ইভ্যালির মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে, তাদের সংখ্যাও লাখ লাখ, এবং তারা বেশির ভাগই শিক্ষিত।
বাঙালি নিজেকে খুব চালাক আর বুদ্ধিমান ভাবে। বিনা পরিশ্রমে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার এরকম ভয়াবহ প্রবণতা বিশ্বের আর কোনো জাতির মধ্যে দেখা যায় না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, দেশের জনগণের এই কষ্টার্জিত হাজার হাজার কোটি টাকা আসলে কাদের পকেটে যায়, এটা বোকা আর লোভী বাঙালি জানেই না, ভাবেও না। অথবা হাজারটা প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিলেও তারা তা বিশ্বাস করবে না। কারণ, সেই বড়ো বড়ো প্রতারক আর বাটপারদেরই এই বাঙালি জাতি পিতা, মাতা, বা পীর জ্ঞান করে আজীবন পূজা করে যাচ্ছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :