সোহেল রহমান : [২] রাশিয়ার বাজারে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য সরাসরি রপ্তানিতে সে দেশের সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি।
[৩] সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিস্কিয়েই এর সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
[৪] মত বিনিময়কালে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশ্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন এবং কিছু শুল্ক জটিলতার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন জটিলতার কারণে অন্য দেশের মাধ্যমে রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে।
[৫] তিনি বলেন, জটিলতাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, এগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে। সমস্যাগুলোর সমাধান হলে রাশিয়ার বাজারে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশ রাশিয়াসহ ‘ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন’ ও সিআইএসভুক্ত অন্যান্য দেশেও রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী।
[৬] বাণিজ্যমন্ত্রীর কথার জবাবে নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিস্কিয়েই বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশের পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে রাশিয়ায়। চলমান বাণিজ্য বাধাগুলো দূর হলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। রাশিয়া সরকার চলমান সমস্যাগুলো দূর করতে আন্তরিক। রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হতে চায়।
[৭] প্রসঙ্গক্রমে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এজন্য বাংলাদেশ রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ এখন উন্নত মানের পণ্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সরবরাহ করতে সক্ষম। বিশ^ব্যাপী বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
[৮] বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যের সম-পরিমাণ পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে একই সময়ে বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের সম-মূল্যের পণ্য। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও