সুজিৎ নন্দী: [২] সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। করোনা পরিস্থিতি কমায় উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ছে। তবে দর্শনার্থীদের ম্যাস্ক ও হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
[৩] রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন মন্ডপে এগিয়ে চলছে সাজসজ্জার কাজ। প্রতিমা তৈরি ও প্রতিমায় রঙতুলির আঁচড় দিতে শুরু করেছেন কারিগররা। সোমবার নগরীর বিভিন্ন পূজা মন্দিরে ঘুরে এরকম চিত্র দেখা যায়।
[৪] অনেক স্থানেই প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু তুলির শেষ আঁচড় দেয়া বাকি। পূজার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিল্পীরা।
[৫] পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, করোনা অতিমারির কারণে গত বছরের মতো এবারো বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় ‘দুর্গোৎসব’কে ‘দুর্গাপুজো’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এবার কোনো উৎসব হবে না, শুধু পুজো হবে। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি এবং বেশি সংখ্যক মানুষের টিকাকরণের কারণে মন্ডপের সংখ্যা বাড়বে। হবে কুমারী পুজোও।
[৬] ঢাকা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বরুণ ভৌমিক নয়ন বলেন, করোনার কারণে এবারো উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। মাস্ক ব্যবহার এবং সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে প্রতিটি মন্দিরে।
[৭] তিনি আরও বলেন, আমার কাছে আমার নিজের জীবন বা পরিবারের জীবন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দেশের প্রতিটি মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে প্রতিটি মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
[৮] করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর মন্ডপের সংখ্যা কমে হয়েছিলো ৩০ হাজার ২২৫টি। এবার মন্ডপের সংখ্যা দুই থেকে তিনশ’ বাড়বে। দর্শনার্থীদের জন্য মন্ডপ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে হাত পরিষ্কার ও মাস্ক বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।