খালিদ আহমেদ: [২] ডিজিটাল জীবনমানে বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৩তম হয়েছে। এবারের স্কোর শূন্য দশমিক ৩৪, যা গতবার ছিল শূন্য দশমিক ৩৫। দক্ষিণ এশিয়ায়ও বাংলাদেশ সর্বনিম্নে অবস্থান করছে।
[৩] সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক সম্প্রতি ‘ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্স ২০২১’ সালের প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। সার্ফশার্ক বিশ্বের ১১০টি দেশের জনগণের ডিজিটাল কল্যাণের মান নিয়ে এ প্রতিবেদন করেছে।
[৪] ডিজিটাল জীবনযাত্রার মান নির্ধারণে ইন্টারনেট সামর্থ্য, ইন্টারনেটের মান, ই-অবকাঠামো, ই-নিরাপত্তা, ই-সরকার পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে সার্ফশার্কের প্রতিবেদনটি করা হয়। ডিজিটাল জীবনমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশ হচ্ছে ডেনমার্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। সবশেষে আছে ইথিওপিয়া। আর শেষের দশে বাংলাদেশও আছে।
[৫] বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩ নম্বরে। এশিয়ার ৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩০তম। বাংলাদেশের নিচে আছে তাজিকিস্তান ও কম্বোডিয়া। দক্ষিণ এশিয়াতে ভারত শীর্ষে। বৈশ্বিক র্যাংকিং ৫৯ ও স্কোর শূন্য দশমিক ৫২।
[৬] সূচকে ইন্টারনেট সামর্থ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ ৮৪তম, ইন্টারনেটের মানে ৮৯, ই-অবকাঠামোতে ৮৯, ই-নিরাপত্তায় ১০৩ ও ই-সরকারে ৮৬তম।
[৭] বাংলাদেশকে যেসব মানদণ্ড পেছনে রেখেছে তা হচ্ছে, মোবাইল ইন্টারনেট গতি (১১০তম), নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্স (৯৬তম) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি সূচক (৯৬তম)। এ ছাড়া বাংলাদেশের যেখানে এগিয়েছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্থায়িত্ব (১৬তম), ব্রডব্যান্ড গতি বৃদ্ধি (৪৪তম) ও মোবাইল ইন্টারনেট স্থিতিশীলতা (৫৩তম)।
[৮] সার্ফশার্কের ডিজিটাল জীবনমানের ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অবস্থান ছিল ৮৫টি দেশের মধ্যে ৭৮তম।