শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:৫৫ দুপুর
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পথের ধারে অপাত্রেই ফুটুক কৃষ্ণচূড়া।

বীথি সপ্তর্ষী, ফেসবুক থেকে,  ৩০ বছর বয়সের মতো এমন বালাই আর নাই। এই বয়সে এসে বন্ধু-বান্ধবের বিয়ে হয়ে যায়। আরেকটু এডভান্সদের ২/১টা বাচ্চাও থাকে। এই বয়সে আসলে বাপ-মায়ের নিজের বাচ্চার বাচ্চা দেখতে মন চায়। ফলে, শুধু বিয়েই নয়- মাথায় বাচ্চার চিন্তা নিয়েও ঘুরতে হয়। এই বয়সে এসে বাপ-মায়ের কাছে আর পকেটমানি চাওয়া যায় না। আবার চাকরির বাজার খারাপ হওয়ায় চাকরিও পাওয়া যায় না। বেশি কপাল খারাপ হলে থাকা চাকরিও চলে যায়। তার চেয়েও বেশি খারাপ কপাল হলে, এই চাকরি চলে যাওয়ার খবর কাওকে জানানো যায় না, চাকরি চাওয়া তো দূরের কথা!

৩০ বছর বয়সের মতো এমন বালাই আর নেই। না কাটানো যায় ব্যাচেলর লাইফ, না কাটানো যায় কম্বাইন্ড লাইফ। তার ওপর মেজাজ খিটমিটে হওয়ার বয়সও এটা। অনেক সুন্দর সুন্দর, ভালো, কাছাকাছি থাকা, বোঝাপড়া থাকা সম্পর্ক এই বয়সে এসে ঝুরঝুর করে ভেঙ্গে পড়ে। এই ভেঙ্গে পড়া প্রথম প্রেমের মতো নয় যে বিড়ি-সিগারেট খেয়ে সামলে ওঠা যায়। বড় হয়ে যাওয়ার পর হাসাহাসি করা যায়। বরং এই বয়সের ভেঙ্গে যাওয়া একটা সম্পর্ক সারাজীবনের ক্ষত, সারা জীবনের ট্রমা হয়ে থেকে যায়।
৩০ বছর বয়সের মতো এমন বালাই আর নাই। সবচেয়ে বড় সমস্যা, বয়সটা মানুষকে একা করে দেয়। বাপ-মা অসুস্থ হয়, রিটায়ার করে। কারো বাপ-মা মরে যায়, কারো বা ক্যান্সারে ভোগে। কারো বাপ-মা সন্তানের মধ্যে বৈষম্য করায় সন্তান এই বয়সে এসে অভিমানে দূরে সরে যায়। এই বয়সে প্রেমিকের বিয়ে হয়ে যায়, প্রেমিকার বাচ্চা হয়ে যায়, বন্ধুরা চাকরি নিয়ে-সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আত্মীয়-স্বজনরা সফলতার কম্পিটিশনে কার নাম আগে রাখবে ঠিক করে নেয়। ঢাকায় থাকা মানুষদের উন্নয়নের অত্যাচারে আড্ডার জায়গা সব ভেঙ্গে যেতে থাকে।

এই বয়সে মানুষ ঘুমানোর সময় সারাজীবন কত লসে কেটে গেল ভেবে ডিপ্রেশনে তলিয়ে যেতে থাকে। জ্যামে বসে সারাজীবন নষ্ট হয়ে গেল ভেবে রাগ হতে থাকে। স্ট্রেসের ঠেলায় ব্যাক-পেইন, মাসল পেইন বেড়ে যেতে থাকে। বাস নাকি রিকশা নাকি সিএনজি করে বাসায় ফিরব টেনশনে মাথার চুল পড়ে যেতে থাকে। ডিপ্রেশনটা আসলেই হচ্ছে নাকি মনের বানানো ভেবে ভেবে ইনসমনিয়াক হয়ে যেতে থাকে। মোদ্দা কথা, ৩০ বছর বয়স একটা কনফিউশন, ডিপ্রেশন আর লোনলিনেস থৈ থৈ বেঁচে থাকা জীবনের বয়স। ২/৪ বছরের মধ্যে কিছু একটা হয়ে যাবে, ভেসে উঠব কিংবা তলিয়ে যাব জেনেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় বেঁচে থাকার নাম ৩০।

এই তিরিশের উদ্বিগ্ন কমরেডদের পথে ঘাটে দেখলেও আপন আপন লাগে। মনে হয়, নিচের পাশ কাটিয়ে নিজেই হেঁটে চলে যাচ্ছি। বয়সের ৩০ দ্রুত কেটে যাক, করোনার দিন শেষ হোক। উন্নয়নের ধুলো-বালি ম্লান হোক, পথের ধারে অপাত্রেই ফুটুক কৃষ্ণচূড়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়