আমিরুল ইসলাম : [২] দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, এ নিয়ে কিছু বলেও লাভ নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি অথর্ব। তারই ফল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়।
[৩] ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন বানাতে হবে। সরকার কখনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না, এর নিশ্চয়তা বিধান করতে।
[৪] বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খান বলেন, প্রার্থী না থাকলে নির্বাচন ভোটবিহীন হয় কীভাবে? নির্বাচনে প্রার্থী না থাকলে কিছু করার নেই। গণতন্ত্র আঁকাবাঁকা পথেই এগোবে। গণতন্ত্র সোজা পথে এগোয় না। একেকটা পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলে।
[৫] আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে না হয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে।
[৬] সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগে. জে. (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে আছি, যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে সেটা আসলে প্রকৃত নির্বাচন নয়। শতভাগ প্রার্থী বিনাভোটে জয়ী হলেও কী করা যাবে। তারা তো জনপ্রতিধি হচ্ছেন না। দেশে বিনা ভোটে জয়ী হওয়ার ট্রেন্ড চলছে।
[৭] সার্বিকভাবে বললে, আমাদের দেশে যা হচ্ছে, সেটাকে ওইভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলা যায় না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হচ্ছে যদি সরকার মনে করে যে এভাবে চলবে না। তাছাড়া আর কোনো পথ ও উপায় নেই। কারণ আমাদের এখানে বিরোধী শক্তিও নেই।
আপনার মতামত লিখুন :