রহিদুল খান: [২] যশোরের চৌগাছায় আধুনিক পদ্ধতিতে হাইব্রিড মুলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। মাত্র ত্রিশ থেকে চল্লিশ দিনে বিঘাপ্রতি ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার লস্কারপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায় শতাধিক বিঘা জুড়ে শুধুই মুলা। বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মুলা চাষ করেছেন কৃষকরা। তবে সাধারণ মুলা চাষের চেয়ে মাঠটির ব্যতিক্রম হলো এ মাঠের সব কৃষকই বেড আকারে মুলা চাষ করেছেন। এতে বর্ষার পানি দুই বেডের মাঝখান দিয়ে রাখা ড্রেন দিয়ে নিস্কাশন হচ্ছে। এতে পানি জমে মুলার কোন ক্ষতি হয় না।
[৩] সরেজমিনে মাঠে দেখা যায়, লস্কারপুর গ্রামের কৃষক সাহেব আলী দুটি খন্ডে এক বিঘা (৩৩ শতাংশে বিঘা) জমিতে হাইব্রিড মুলা চাষ করেছেন। দশ কাঠা জমি থেকে কুড়ি মণ মুলা বিক্রি করেছেন কুড়ি হাজার টাকায়। ক্ষেতে যে মুলা রয়েছে তাতে আরো ৫ মণের অধিক বিক্রি করা যাবে।
[৪] একই মাঠের চাষি খেদের আলী, সুজা উদ্দিন, মতিয়ার রহমান জানান, হাইব্রিড মুলা চাষে লাভ বেশি। এজন্য দেশি জাত ছেড়ে হাইব্রিড জাতের মূলা চাষ করছি। পাইকারি মূলা ক্রেতা মিল্টন হোসেন বলেন, আমরা এক হাজার টাকা মণ দরে ক্রয় করেছি, আমরা আড়তে বিক্রি করবো। সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে বিক্রি করবেন। তিনি জানান, বাজারে খুচরা ৩৫/৪০ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি হচ্ছে।
[৫] উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় চায়না, চাষা কৃষাণসহ বিভিন্ন জাতের মুলা চাষ করেছেন কৃষকরা। তিনি জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় মুলার ফলন ভালো হয়েছে।
[৬] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন মুলা আসলে শীতকালিন সবজি কিন্তু এখন আগাম চাষ করাতে বাজারে দাম ভাল পাওয়া যাচ্ছে। যে সকল কৃষকদের উচু জমি আছে যেখানে পানি জমেনা সেখানে হাইব্রীড জাতের মূলা চাষ করে চাষীরা লাভবান হচ্ছে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :