সাজ্জাত বকুল: জনগণের প্রায় চার হাজার কোটি টাকা লুটে নেবার পর ডেসটিনির রফিকুল আমীনের কী শাস্তি হয়েছে? তিনি জেলে আছেন। শাস্তি বলতে এটুকুই। যদিও লুটের টাকার অতি ক্ষুদ্র অংশ খরচ করে তিনি বেশিরভাগ সময় নানা অসুখের ছুতো দিয়ে জেলের বদলে হাসপাতালে আরাম-আয়েশে দিন কাটান। আরও অবাক বিষয়- জেল হাসপাতালে বসেই নতুন করে আরেকটা হায় হায় কোম্পানি খোলার প্রস্তুতি নেন, তার ডেসটিনির পুরনো প্রতারক সহযোগীদের নিয়ে জুমে মিটিংও করেন। পত্রিকায় এসব নিয়ে রিপোর্ট হবার পরেও তাকে এসবে সহযোগিতা করার অপরাধে জেলের কর্মকর্তা বা হাসপাতালের ডাক্তারদের কোনো শাস্তির খবর আমরা জানি না।
হয়তো অচিরেই সেই কোম্পানির আত্মপ্রকাশও ঘটবে। তাতে অনেক সেলিব্রিটি অ্যাম্বাসাডারও হবেন। অনেক লোভী আবার তাতে কষ্টের টাকাও ঢালবেন। ইভ্যালির রাসেলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বলেই আগের অভিজ্ঞতা বলে। তাহলে কি সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা এই রকম রাসেলদের আত্মপ্রকাশে কার্যত সহযোগিতাই করেন না? যুবক থেকে শুরু করে ডেসটিনি কারো ক্ষেত্রেই সেভাবে বিচার হয়নি। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা হয়নি। এতে কি নতুন নতুন ইভ্যালি, এহসান গ্রুপের জন্ম উৎসাহিত হয় না? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :