শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:৫৬ বিকাল
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শিকল পরিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় ২ শিক্ষক গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের পানপাড়া বাজারে দারুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পায়ে শিকল পরিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া শিক্ষকরা হলেন- মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মো. আশেক এলাহী তারেক। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষার্থীর নানি পারভিন আক্তার বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, গ্রেফতার আশিকুর রহমান তারেক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামের দেওয়ান বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে। আর প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম রায়পুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কাট ব্যবসায়ী ফজলুল করিমের ছেলে।

জানা গেছে, দুই বছর আগে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে দারুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন শহীদুল ইসলাম। শহীদুল তার বাবা মফিজুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, স্ত্রী রাশেদা বেগমসহ কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে একটি পরিচালনা কমিটি করে ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শহিদুল ইসলাম গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র আরমানের পায়ে শিকল পরিয়ে সপ্তাহব্যাপী তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালান। এছাড়া একই বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেনকে দিয়ে শহীদুল তার শরীর ম্যাসাজ করার পাশাপাশি নির্যাতন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আরমান ও জাহিদকে বিষয়টি গোপন রাখার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক।

নির্যাতিত শিক্ষার্থী মো. আরমান হোসেনের নানি পারভিন আক্তার জানান, ‘আরবি পড়াশোনা করার জন্য আমার নাতি আরমান হোসেনকে মাদ্রাসায় দিয়েছি। সেখানে যে শিকল পরিয়ে এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তা আমরা জানতাম না। মাদ্রাসার একজন গোপনে ভিডিও ধারণ করায় আমরা তা দেখে নাতিকে জিজ্ঞাসা করলে গতকাল রাতে জানতে পারি। তার পায়ে শিকলের দাগ এখনো আছে। আজ তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। এমন অমানবিক ঘটনার জন্য জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবি করছি।’

ওসি জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মো. আশেক এলাহী তারেককে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়