শিরোনাম
◈ অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা; ইউরোপ না ছাড়লে হতে পারে দীর্ঘ সময়ের জেল ◈ ঋণের ফাঁদে আমরা ইতিমধ্যেই পড়েছি—এনবিআর চেয়ারম্যানের সতর্কবার্তা ◈ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যে কঠোর বার্তা দিলেন তারেক রহমান ◈ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক নিবন্ধন সম্পন্ন: ইসি অনুমোদন দিয়েছে ৮১ সংস্থাকে ◈ মঞ্চে গালি দেওয়ায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হলো সাবেক সমন্বয়ককে, ভিডিও ভাইরাল ◈ আসিফ আকবর–ওমর সানীর ‘শব্দযুদ্ধ’ চরমে: ব্যক্তিজীবন নিয়ে মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সানীর ভিডিওবার্তা ভাইরাল ◈ জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনাল ছাড়লেন পলক (ভিডিও) ◈ দেশের মা‌টি‌তে ৩ ফরম্যাটের সিরিজ খেলে জাতীয় দল থে‌কে অবসর নি‌তে চান সাকিবআল হাসান ◈ যুদ্ধ বিধস্ত সি‌রিয়া ও ফি‌লি‌স্তিন ফিফা আরব কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ◈ জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:৪৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বন্ধুত্বের পর চাকরি-উপহারের প্রলোভনে প্রতিদিন হাতিয়ে নিতো ১৫ লাখ টাকা

মাসুদ আলম: [২] শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগ ও নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে তুলে। কখনো বিদেশে চাকরির অফার দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার এবং ই-মেইলে যোগাযোগ করে। এরপর তাদের কাছে বিভিন্ন ফির বাহানায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। এমনই একটি চক্রের তিন সদস্যকে শুক্রবার রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির লাগবাগ বিভাগ। তারা হলেন- মো. কবীর হোসেন, শামসুল কবীর ও ইয়াছিন আলী।

[৩] তিনি আরও বলেন, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ২৫৭টি চেক বই, ২৩৪টি ডেবিট কার্ড, ৮টি মোবাইল ফোন ও ১১টি মোবাইল সিম জব্দ করা হয়। ড্রিম জবস ইন কানাডা নামে প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। চক্রের একটি গ্রুপ প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্বের পর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে বিভিন্ন ফির বাহানায় ব্যাংকে টাকা জমা দিতে বলে।

[৪] তিনি বলেন, আবার ফেসবুকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উপহার পাঠানোর কথা বলে কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ফোন করে। দ্বিতীয় গ্রুপের কাজ হলো বিভিন্ন নামে ব্যাংক হিসাব খোলা। এসব হিসাবধারীরা কমিশনের বিনিময়ে নিজের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলতে থাকে এবং ঘনঘন বাসা এবং মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে।

[৫] ডিবি প্রধান আরও বলেন, চক্রের ৩য় গ্রুপ এসব ব্যাংক হিসাবধারীদের স্বাক্ষরিত চেক বইয়ের পাতা এবং এটিএম কার্ড এবং কার্ডপিন কুরিয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। ৪র্থ গ্রুপ প্রতিদিন ভিকটিমদের জমা করা টাকা চেক বা কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করে একজন ম্যানেজারের হাতে তুলে দেয়। ম্যানেজার এই টাকা তাদের কথিত বসের হাতে পৌঁছায়। এভাবে সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া প্রতিদিন চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ টাকা। কবীরের কাজ যাবতীয় অর্থ সংগ্রহ করে ম্যানেজারের হাতে পৌঁছে দেওয়া। শামসুল কবীর হলেন ব্যাংক হিসাবধারী। তারা সবাই মাসিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতনে বিভিন্ন স্তরে কাজ করে এবং তাদের অন্য কোনো পেশা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়