সোহেল মিয়া: [২] রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে যেতে ভয় পাচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদেরকে অন্যত্র একটি টিনশেড কক্ষে তাদের পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
[৩] শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে চর সিলিমপুর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে বিদ্যালয়টিসহ ঐ এলাকার স্থাপনা ও ঘরবাড়ি রক্ষা করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সিসি ব্লক দিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে হঠাৎ করে বিদ্যালয় সংলগ্ন পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধে ফের ভাঙন শুরু হয়। এতে সিসি ব্লকের প্রায় ৪০ -৫০ মিটার ব্লক নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
[৪] আর হঠাৎ করে সিসি ব্লক ভেঙে নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় চরম হুমকিতে পড়েছে বিদ্যালয়টিসহ মসজিদ ও প্রায় অর্ধশত বসত ভিটা। ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ একটি টিনশিডে পাঠদান সম্পন্ন করছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে গেলে শ্রেণিকক্ষের চরম সংকটে ভুগবে বিদ্যালয়টি বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
[৫] বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে স্কুলের কাছে চলে এসেছে। স্কুলটি রক্ষার জন্য যে সিসি ব্লক ফেলানো হয়েছে সেই ব্লকের একটু দূরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে স্কুলের পাশটিও ভেঙে যেতে পারে। তাই আমরা ভয়ে কেউ ক্লাসে ঢুকি না।
[৬] বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলাের পর থেকে বিদ্যালয়ের মূল ভবনেই পাঠদান করাচ্ছিলাম। হঠাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে স্কুলের পাশেই সিসি ব্লক ভেঙে নদীতে চলে যাওয়ার পর থেকে আর ওখানে পাঠদান করাচ্ছি না। কারণ মূল ভবনটি এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পাশের টিনশিডে ক্লাস নিচ্ছি।
[৭] রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, পদ্মা নদীর পানি কমার কারণে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে দ্রুতগতিতে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। স্কুলটিসহ গ্রামটি রক্ষা করার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে কাজ চলছে। সম্পাদনা: হ্যাপি