শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৫০ রাত
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শঙ্কর মৈত্র: স্মৃতিতে বাউল সম্রাট আব্দুল করিম

শঙ্কর মৈত্র: ধল গ্রাম আমার মায়ের মামার বাড়ি, সে হিসেবে আমার নানা বাড়ি। সে গ্রামের মানুষ বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। আব্দুল করিমের অন্যতম পার্ষদ রুহী ঠাকুর মায়ের মামা আর আমার নানা। আমি দাদু ডাকতাম। সে সূত্রে বাউল আব্দুল করিমকে আমি নানা ডাকতাম। সিলেট শহরে করিম নানার সঙ্গে অনেক স্মৃতি আছে আমার। একটা স্মৃতি এখনও মনে পড়ে। শহরের কুয়ারপাড়ে রুহী দাদুর বড় ভাই রবীন্দ্র দাদুর বাসা ছিলো। মায়ের বাবা অর্থাৎ আমার দাদু যামিনী চক্রবর্তি বেড়াতে আসলেন। সেদিন সে বাসায় আসলেন আব্দুল করিম, রুহী ঠাকুরও। বলছি ৩০ বছর আগের কথা। করিম নানার তখনও এতো নামডাক হয়নি। লুঙ্গি আর পাঞ্জাবী পরতেন।

আমি তখন এমসি কলেজে ইন্টারমেডিয়েট পড়ি। রবী দাদুর বাসায় গল্প জমেছে। যামিনী ঠাকুরের নাতি আমি তাই করিম নানাও নাতি হিসেবে নানা রস দিয়ে গল্প করেন। কথায় কথায় ছন্দ মিলিয়ে কথা বলতেন। সে সময় আমরা বাউলদের খুব একটা মূল্যায়ন করতাম না। তবে জানতাম তারা নিজেরাই গান লিখে গায়, গ্রামে, হাটবাজারে। আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে। রবী দাদুর বাসা থেকে আমি, করিম নানা আর রুহী দাদু বের হয়ে যার যার গন্তব্যে যাবো। আমি যাবো আমার হোস্টেলে। আমরা এক রিকশায় ওঠেছি। আমি নাতি, তাই দুই দাদুর মাঝখানে বসেছি। কিছুদূর গিয়ে করিম নানা পান খাবেন, আমি নেমে দুজনের জন্য পান নিয়ে আসলাম। নানা ‘কাঁচা গুয়া’ দিয়ে পান খান। তারপর করিম নানার সঙ্গে সিলেট শহরে কতো স্মৃতি। নানার নাম ডাক চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলা লোকগান আর বাউল গানের সম্রাট উপাধি পেলেন করিম নানা। মুখে মুখে তার গান। বাংলাদেশ, পশ্চিম বাংলা যেখানেই বাঙালি আব্দুল করিমের গান ছাড়া অনুষ্ঠান হয় না। এমন মানুষটিকে আমি কাছে থেকে দেখেছি, একসঙ্গে রিকশায় চড়েছি। ভাবতেই অবাক লাগে। পোশাক-আশাক,চলন বলনে সহজ সরল করিম নানার আজ মৃত্যু বার্ষিকী। ৩০ বছর আগে নানার সঙ্গে স্মৃতিগুলো এখনও মনের ক্যামেরায় রয়ে গেছে। দেশে বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, টেলিভিশনে আব্দুল করিমের গান যখন হয় আর আমার কন্যাদের যখন বলি, আব্দুল করিমের সঙ্গে আমার এতো এতো স্মৃতি, তখন তারা অবাক হয়।

আমি ভাবি স্বশিক্ষিত লোকটি এতো উচ্চমার্গের গান লিখে গেলেন, সুর দিয়ে গেলেন। ঈশ্বর প্রদত্ত ছাড়া কোনোভাবেই এটা সম্ভব নয়। প্রয়াণ দিবসে বাউল সম্রাটের প্রতি শ্রদ্ধা। নানার গানের কলি দিয়েই শেষ করি, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গ্রামের নও জওয়ান হিন্দু মুসলমান’ কিংবা ‘বসন্ত বাতাসে সইগো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে’। পরপারে ভালো থাকবেন বাউল সম্রাট। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়