সোহেল মিয়া: [২] টানা দেড় মাস চরম ভোগান্তির পর অবশেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বারখ্যাত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। ফেরির সংখ্যা বাড়ানো, পদ্মার পানি ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া এবং স্রোতের তীব্রতা কমে আসার কারণে স্বস্তি ফিরেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে।
[৩] শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে যাত্রী ও চালকসহ ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
[৪] বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। এগুলোর মধ্যে ১২টি রো-রো ফেরি রয়েছে। বাকি ৮টি ইউটিলিটি ফেরি।
[৫] অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেলেও কয়েকদিন ধরে পানি বাড়ছেনা। সেই সাথে পদ্মা নদীর স্রোতের তীব্রতাও বেশ কমেছে। পানি হ্রাস এবং স্রোতের গতিবেগ কমার কারনে অনেকটাই ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।
[৬] ঘাট এলাকাতে দেখা যায়, নদী পারের জন্য তেমন কোন উল্লেখযোগ্য যানবাহন অপেক্ষায় নেই সড়কে। কয়েকদিন আগেও যেমন দুই থেকে তিনদিন ধরে নদী পারের জন্য অপেক্ষা থাকতে হয়েছে যানবাহনগুলোকে, এখন সেই চিত্র আর নেই। পর্যাপ্ত ফেরি থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের নদী পার হতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
[৭] অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারের কারণে ট্রাকচালকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এর আগে গত দেড় মাস ধরে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও ফেরি সংকট থাকায় ভোগান্তি চরমে ছিলো বলে জানায় যাত্রী ও চালকেরা।
[৮] যশোর থেকে ছেড়ে আসা বাসচালক ইকবাল হোসেন জানান, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে স্বস্তি ফিরেছে। এখন আর বাসগুলোকে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরিপারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। সিরিয়ালে গাড়ীগুলো ফেরিতে ওঠে যাচ্ছে। তিনি বলেন ফেরির সংখ্যা যেন এই নৌরুট থেকে হ্রাস করা না হয়।
[৯] বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলোর মধ্যে ১২টি রো-রো ফেরি রয়েছে। বাকি ৮টি ইউটিলিটি ফেরি। বড় ফেরির সংখ্যা বেশি থাকার কারণে এই রুটে ভোগান্তি কমেছে।
[১০] রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, গত দেড় মাস ধরে জেলা পুলিশ সদস্যরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক এবং রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ী অংশ সচল রাখতে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্য নৌরুটের যানবাহনের চাপ থাকায় যানবাহনের সংখ্যা ছিলো কয়েকগুণ বেশি। সেই তুলনায় ফেরি ছিলো অপ্রতুল। ২০টি ফেরি চলাচল করলে সব সময় স্বস্তির মধ্যেই যাত্রী ও চালকেরা নৌরুট পার হতে পারবে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস