মাসুদ আলম ও সাদেক আলী: [২] বৃহস্পতিবার সকালে বসিলার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকায় গ্রেপ্তার চার জঙ্গি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানার তথ্য দেন। তাদের কথা অনুযায়ী বাসাটিতে জেএমবির শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা থাকতেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বসিলায় অভিযান চালিয়ে এমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গিরা জিজ্ঞাসাবাদে বসিলা থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছিল র্যাবকে। ওই দলের সদস্য উজ্জ্বল। তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ঢাকার বাইরে জামালপুর ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় করে। পরে বুধবার গভীর রাতে বসিলার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়।
[৪] কমান্ডার মঈন বলেন, অভিযানস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, নগদ পৌনে তিন লাখ টাকা, রাসায়নিকদ্রব্য, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও বেশকিছু জিহাদি বই জব্দ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া সে জেএমবির কোন পর্যায়ের সদস্য তা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যাবে।
[৫] তিনি আরও বলেন, বাসার দারোয়ান ও আটক জঙ্গিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে চলতি মাসের ২ তারিখে ভবনটির দোতালায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করার কথা বলে। বাসা ভাড়ার সময় পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবারের লোকজন এলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেবে এমন শর্তে বাসাটি ভাড়া নেয় গ্রেপ্তার জঙ্গি ও আরেকজন। বাসাটিতে আরও দুইজন লোকের আসা-যাওয়া ছিল। তারা গতকাল বাসাটি থেকে বের হয়ে যায়।
[৬] বুধবার গভীর থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় র্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট ও ফরেনসিক টিম বসিলার চারতলা ওই ভবনটিতে প্রবেশ করে।
[৭] ভবনের দারোয়ান মহিউদ্দীন বলেন, প্রতিদিন সকালে একটি পানির বোতল আর পলিথিনের ব্যাগ হাতে বেরোতেন। আজ স্ত্রী-সন্তানকে বাড়ি থেকে আনার কথা বলেছিলেন। বাড়ি নওগাঁ বলে শুনেছেন।