সোহাগ হাসান: [২] জেলার কামারখন্দে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে পারুল খাতুন নামে এক গৃহবধূকে মারপিট করে আহত করেছে পুলিশ কনষ্টেবল স্বামী রাশেদুল ইসলাম।
[৩] গুরুতর আহত পারুল খাতুনকে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পারুলের বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেন।
[৪] মামলার আসামীরা হলেন, পারুলের স্বামী পুলিশ কনষ্টেবল রাশেদুল ইসলাম, তার বাবা আলাউদ্দিন মন্ডল ও মা রেহেনা খাতুন।
[৫] মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে কামারখন্দ উপজেলার নান্দিনা মধু গ্রামের আলাউদ্দিন মন্ডলের ছেলে রাশেদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় পারুলের। বিয়ের সময় পুলিশের চাকরীর নেয়ার নাম করে ৮ লাখ টাকা যৌতুক নেয় রাশেদুল ইসলাম। এর পর আরো ১০ লাখ যৌতুকের জন্য দাবী করে পারুলকে নির্যাতন করে আসছিলো রাশেদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
[৬] গত ২৯ আগষ্ট রাশেদুল ইসলাম ছুটিতে বাড়ি এসে যৌতুকের টাকা ও দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে পারুলের কাছে লিখিত অনুমতি চায়। এতে পারুল রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট করে আহত করে রাশেদুল ও তার পরিবারের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা পারুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এঘটনায় তিন জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন পারুলের বাবা ফজলুর রহমান।
[৭] কামারখন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: এম.এম সুমনুল হক বলেন, পারুলকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। তার মুখ দিয়ে রক্ত খরণ হচ্ছিলো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
[৮] কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হুদা বলেন, পারুলকে নির্যাতনের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। হাসপাতালে পারুলের কাছে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস