আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন সরকারের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। ২য় সহকারি সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন মোল্লা আব্দুল সালাম হানাফি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এফবিআই-এর ওয়ান্টেড তালিকায় আছেন।
[৩] বিবিসি জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন সেরাজুদ্দিন হাক্কানি। তিনি জঙ্গি-দল হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান। গত দু'দশকব্যাপী লড়াইয়ে আফগানিস্তানের ভেতরে অনেকগুলো সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী এই হাক্কানি নেটওয়ার্ক।
[৪] অন্যান্যদের মধ্যে তালিবানের মন্ত্রীসভায় ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন মুল্লা ইয়াকুব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন আমির খান মুত্তাকি।
[৫] কাবুলে সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা জানি, জনগণ আগ্রহভরে এই ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছিলো। যারা বিদেশে যেতে চায়, তারা সঠিক নথি ও ভিসা নিয়ে চলে যেতে পারবে। কোনো প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী অনুমোদন করা হবে না। এটি প্রতিবাদের উপযুক্ত সময় নয়। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কোনো বিদেশি শক্তিকে নাক গলাতে দেবো না’।
[৬] তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো একপেশেভাবে এই অবৈধ বিক্ষোভের খবর প্রকাশ করছে। এখন পর্যন্ত সবগুলো মন্ত্রী পদ নিশ্চিত হয়নি। পানশিরে আর কোনো লড়াই হচ্ছে না’।
[৭] হাসান আখুন্দ তালিবানের আগের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খুব বেশি পরিচিত নেতা নন। তালিবান একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিন্তু তাদের সরকারে সেই প্রতিশ্রুতি কতোটা রক্ষা করা হবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জাবিহুল্লাহর ঘোষণায় তালিবানের বাইরের কারো নাম নেওয়া হয়নি। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ