সাদেক আলী: যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। টানা কয়েক সপ্তাহ যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী জীবনযাপন করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় পানি কমার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ।
তিনি জানান, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরি, চৌহালী উপজেলা সদর ও এনায়তপুরে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। গো-চারণ ভূমি চলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।আরটিভি নিউজ
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বন্যা কবলিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বরাত দিয়ে জানান, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৫ লাখ নগদ টাকা সাহায্য দেয়া হয়েছে।