রাহুল রাজ: [২] ১১ জনের মধ্যে ৮ জন যখন দুই অঙ্কের আগেই সাজ ঘরে ফিরে যায় তখন দিন শেষে ৫২ রানের পরজয় নিয়ে খুব বেশি প্রশ্ন করার থাকে না। বুঝতে বাকি থাকে না নিউজিল্যান্ডকে আটকাতে যে স্লো পিচ তৈরি করা হয়েছিলো, সেই পিচই কাল হয় বাংলাদেশের জন্য। ১২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯.৪ ওভারেই ৭৬ রানে অলআউট হয় টিম টাইগার্স। দলের পক্ষে মুশফিক রহিমের ২০ রান ছিলো সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
[৩] লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের ২৩ রানের জুটি তৃতীয় ম্যাচের টাইগারদের সফল পাওনা। শুরু থেকেই কে কার আগে সাজঘরে ফিরবে সেই প্রতিযোগীতা বিরাজোমান ছিলো রিয়াদ বাহিনীদের মধ্যে। লিটন দাস ১৫ রানে আউটের মধ্য দিয়ে যে উইকেট পতনের সূচনা হয়েছিল মোস্তাফিজের আউটের মধ্য দিয়ে তার পরিসমাপ্তি হয়। সাকিব, আফিফ এবং নাসুম ফিরেছেন শূণ্য রানে।
[৪] প্রথমবারের মতো সিরিজে জয়ের দেখা পেলো নিউজিল্যান্ড। পরবর্তী দুই ম্যাচে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সিরিজ জয়ের সঙ্গে আইসিসির র্যাংকিয়ে পঞ্চম স্থানে ওঠার স্বপ্ন আঁধারে হারিয়ে যাবে।
[৫] রোববার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হেনরি নিকোলস-টম ব্লান্ডেলের জুটিতে বাংলাদেশকে ১২৯ রানের টার্গেট দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো নিউ জিল্যান্ড শেষ ৯ ওভারে একটি উইকেটও হারায়নি।
[৬] শেষ ওভারে অবশ্য সাকিব ক্যাচ ধরতে পারলে একটি উইকেটের পতন হতো। দুজনের জুটি থেকে আসে ৬৫ রান। নিকোলস ২৯ বলে ৩৬ ও ব্লান্ডেল ৩০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া ২০ রান করে আসে রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়ংয়ের ব্যাট থেকে। ২০ ওভার শেষে কিউইদের স্নংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান। সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১২৯ রান।
[৭] মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। সবচেয়ে বেশি চার ওভারে ২৯ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ২ওভারে ৫ রান দিলেও শেষ ২ ওভারে দেন ২৪ রান। ম্যাচ সেরা আজিজ প্যাটেল। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :