আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] মধুমতি নদীর পানি ৪ পয়েন্ট ৪৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সিমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, বিলরুট ক্যানেল নদীর পানি ৩ পয়েন্ট ১০ বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী ভাংগনে হুমকির মুখে রয়েছে নদী পাড়ের ৪টি আশ্রয়ন প্রকল্পের কমপক্ষে দেড় হাজারের মতো মানুষ।
[৩] আটকেপড়া বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বাড়ছে নানান ধরনের রোগ বালাই। খাওয়ার অনুপযোগী টিউবয়েলের পানিতে চরম দুগর্ন্ধ।
[৪] শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইস্টিমেটার মো, কাওছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৫] তিনি বলেছেন ,গত কয়েক দিন ধরে মধুমতি নদী ও বিলরুট ক্যানেলের পানি উপচে পড়ে বিভিন্ন খাল-বিল ডোবা নালা দিয়ে প্রবেশ করে জেলার ৫টি উপজেলায়। গত কয়েক দিনের আটকেপড়া বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে ওইসব এলাকার বিভিন্ন নিম্মাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ী।ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওইসব এলাকার মানুষ।
[৬] শুক্রবার দুপুরের দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর, মালেঙ্গা ও উলপুর তেতুলিয়া ও মধুপুর এলাকায় মধুমতি নদীপাড়ে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ন প্রকল্প ২এর অধীনস্থ ৪টি আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় সরোজমিন পরিদর্শনকালে আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষজনের সাথে কথা হলে অভিযোগ করে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প ২এর অধীনে পাওয়া ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে এমন আতংকে চোখে ঘুম নেই তাদের।
[৭] জেলা সদরের হরিদাসপুর, মালেঙ্গা, উলপুর তেতুলিয়া ও মধুপুরসহ ৪টি আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩ থেকে সাড়ে ৩শত ঘরের কমপক্ষে দেড় হাজারের মতো দরিদ্র মানুষ বলেছেন, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ গোটা দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলারমতো আমাদের গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার দুই হাজারেরও বেশি গৃহহীন
[৮] অপরদিকে,অব্যাহত নদীর পানি বেড়ে বিভিন্ন খাল-বিল ও ডোবা-নালা দিয়ে প্রবেশ করছে জেলার নিম্মাঞ্চলে। ক্ষতি হচ্ছে নানান প্রকার ফসলের।বসতবাড়ী ছাড়াও তলিয়ে যাচ্ছে নিম্মাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তাঘাটও। পানিবন্দি হয়ে পড়া দরিদ্র মানুষগুলোর কাজ কাম না থাকায় অনেকটাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
[৯] জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, নিন্মাঞ্চল হিসেবে পরিচিত জেলা গোপালগঞ্জে জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। আধাঘন্টা বৃষ্টি হলেই গোপালগঞ্জ জেলা শহরের পৌর এলাকায় হাটু পানি জমে যায়। আর এটাতো গ্রাম। পানি সরার জন্য ন্যাচারাল যে জায়গাগুলো তা কিন্ত আমরা নষ্ট করে ফেলেছি।এক ঘন্টার বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি কিন্ত সরে যাচ্ছেনা। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ