শিমুল মাহমুদ: [২] গেলো আগস্টে প্রথমার্ধে একদিনে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। শেষার্ধে এসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিমাণ কমলেও দেশে শিগগির করোনার আরেকটি ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৩] বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৪৩৬ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০। আক্রান্ত মারা গেছেন আরো ৮৮ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ হাজার ৩৬২ জন। আর মোট ১৫ লাখ সাত হাজার ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতির পরিবর্তনও তাদের আশংকার একটি কারণ। প্রতিবেশী দেশ (ভারত) ও সারা বিশ্বের কোভিড পরিস্থিতির ওপর আমরা নজর রাখছি, পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করবো।
[৫] যুক্তরাজ্য শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি’র সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম, ঢেউ নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। আমার মতে আমরা এখন তৃতীয় ঢেউয়ে রয়েছি। আর সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে ২ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই।
[৬] আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, দেশের যে সব জায়গায় গুচ্ছ আকারে সংক্রমণ হচ্ছে সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব জায়গায় সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুচ্ছ ভেঙে দিতে হবে। এতে ভাইরাস একসঙ্গে অনেক বেশি মানুষকে সংক্রমিত করতে পারবে না। ফলে দুর্বল হয়ে পড়বে। সংক্রমণ হার কমে এলে আমরা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারবো।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, দেশে করোনার প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য অবিলম্বে বিভিন্ন এলাকায় একটি সেরোসার্ভিলেন্স পরিচালনা করা উচিত সরকারের। সেরোসার্ভিলেন্স সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি মাত্রার অনুমান করতে সাহায্য করে। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্বল দিক চিহ্নিত করে সরকারের অবিলম্বে সেগুলো ঠিক করার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মত দেন তিনি। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।