অহিদ মুকুল : [২]জেলার সেনবাগে বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো.আইমুন ভূঞা উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নন্দীর পাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে।
[৩] বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে, বুধবার রাতে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা সিবিচ এলাকা থেকে সেনবাগ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
[৪] সেনবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ধর্ষক আইমনকে এক নারীর প্রেমের ফাঁদে ফেলে পুলিশ। পরে ওই নারীর সঙ্গে সে চট্রগ্রামের সিবিচ এলাকায় বুধবার রাতে দেখা করতে এলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
[৫] সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় ফাহাদকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। ওই মামলার ৩ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
[৬] গত শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে তিনি ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাদের বাড়িতে যান। জন্মদিনের কেক কাটার পর স্থানীয় লেদু মিয়ার ছেলে ফরহাদের নেতৃত্বে ৫-৭ জন লোক ওই বাড়িতে আসেন।
[৭] এ সময় তারা অনুষ্ঠানে আসা গৃহবধূর সঙ্গে রাজন নামে এক যুবকের সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলে তাদেরকে ফরহাদের বিল্ডিংয়ে নিয়ে আটক করে। একপর্যায়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজন চাঁদা দিতে অস্বীকার করে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে যোগাযোগ করলে কিছুক্ষণ পর রাজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ফোন আসলে তারা রাজনকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু গৃহবধূকে আটকে রেখে কুপ্রস্তাব দেয় সন্ত্রাসীরা। তাতে রাজি না হওয়ায় রুমের দরজা বন্ধ করে সন্ত্রাসী ফরহাদ তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার সাঙ্গপাঙ্গরা বাইরে পাহারা দেয়।
[৮] পরে গত সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ওই গৃহবধূ সেনবাগ থানায় মামলা করেন।