সমীরণ রায়: [২] আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা না করে খুনিদের বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আর এরশাদ খুনিদেরকে ফ্রিডম পার্টি গঠনের অনুমতি দেন।
[৩] তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসান। জনগণের মুখে চপেটাঘাত করেন তিনি।
[৪] মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচানয় তিনি এসব কথা বলেন।
[৫] আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বন্দুকের নল দেখিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না। তিনি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি করে জনগণকে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছেন। অধিকার আদায়ের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এরপর জনগণ যখন তাকে ম্যান্ডেট দিয়েছেন। তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।
[৬] তিনি বলেন, দেশের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু করেছেন। বাংলাদেশ যে আইনি কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তা বঙ্গবন্ধুর তৈরি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর এই আইনি কাঠামো পাল্টে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
[৭] আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন আমরা বাঙালি। তিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সংবিধান দিয়েছেন। বিনিময়ে তাকে হত্যা করেছি।এই কলঙ্ক কোনোদিন মোচন করতে পারবো না।
[৮] বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুকসহ প্রমুখ। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :